এখন তো বৃষ্টিতে ভেজার বয়স আমার নেই,
সাহসও তো নেই –
আষাঢ় মাসের এসময়ে অঝোর ধারায় শুনি
সোনার নূপুর বেজে যায়, বাজে – অনাদি ঘুঙুর;
আনন্দে আপ্লুত গাছগাছালির পল্লব-পত্রালি
আন্দোলিত হতে দেখি – যেন পুনঃ কালিদাস-কাল
সমাগত! – পত্রেপুষ্পে সুশোভিত প্রিয় বৃক্ষরাজি
অপার আহ্লাদে ভিজছে – শুনি ফুল্ল আনন্দ-ভৈরবী!
বাঙ্গালার নর888sport promo codeগণ বুঝি সুখে নিদ্রা যায়
উন্মুখর আনন্দ-বর্ষণে! – বর্ষা আজ সর্বব্যাপী
মানুষে ও প্রকৃতিতে; বৃষ্টি ঝরে ময়ূর-আনন্দে!
মেঘের গর্জনে, জানি, সুদৃশ্য পেখম খুলে নাচে
মহানন্দে ময়ূরেরা; – এই ক্ষণে এক্ষেত্রে ব্যত্যয় :
ত্রিভুবন-জুড়ে মেঘেরাই নেচে যায় ময়ূরের
বিকল্প কলাপে! – এই বুঝি বাঙ্গালার সুনিশ্চিত
নিজস্ব নিয়ম, ধরাধামে বৃষ্টির বিকল্প নেই –
বৃষ্টি দেবে সবকিছু ঢেলে তোমার দু’হাত ভরে
জীবনে ও শস্যক্ষেত্রে – কিন্তু নিতে তুমি পারবে কি
সেই অযাচিত ধন – আছে কি সে ধারণ-ক্ষমতা?
বর্ষা বড় আর্দ্র ঋতু, দ্রবীভূত করে, এমনকি,
জল্লাদেরও মন; মাঙ্গলিক এই ঋতু বিশুষ্কতা
প্রত্যাখ্যান ক’রে আর্দ্র করে হৃদয়-মনন-মেধা ॥ ২২ আষাঢ় ১৪১১

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.