স্থির প্রত্যয়ের পথে এক যাত্রী

খবর এলো হঠাৎ, আবুল হাসনাত নেই।

হাসনাত নেই? তাও কি সম্ভব? স্তম্ভিত বসে থাকি কিছুক্ষণ।

মনে পড়তে থাকে এ-বাংলায় ও-বাংলায় আমাদের যাপিত কিছু সময়ের কথা। বাইরের প্রসারের দিক থেকে ভাবলে ভিন্ন ভিন্ন সেই যাপনকালের বিস্তার খুব যে বেশি তা নয়, কিন্তু অন্তত আমার জীবনে তার অভিঘাত অনেকটাই বড়ো হয়ে আছে।

মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯৭৫ সালে তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়ের দিনগুলি। 888sport apps হবার পর সেই প্রথম আমার ওপার বাংলায় পৌঁছনো। সন্‌জীদা খাতুনের প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানটে’র আহ্বানে তিনদিনের এক সাংগীতিক আলোচনাসভায় গিয়েছি সেখানে। কিন্তু দরকারের চেয়ে একটু বেশিদিনই থাকা হয়ে যাচ্ছে ওঁদের দাক্ষিণ্যে, ওঁদের আতিথ্যের আহ্লাদে। শুধু মানুষজনের সঙ্গেই নয়, অল্পসময়ের মধ্যেই 888sport appর পথঘাট, মিনার-জাদুঘর সবকিছুরই সঙ্গে ওঁরা আমাকে এমনভাবে এক আত্মীয়বন্ধনে জড়িয়ে দিচ্ছেন যে আমার উচ্ছ্বাসের, আমার আবেগের যেন কোনো অন্ত থাকছে না তখন।

এরই মধ্যে একদিন ওঁরা বলে বসলেন : ‘888sport apps তো বেড়াবার দেশ। আপনাকে কোনো জায়গা না দেখিয়ে ছেড়ে দেব, সেটা তো সম্ভব নয়। তবে আমাদের সম্বল বেশি নয়, খুব বেশি ঘোরাতে পারব না তাই। তবু, একটা-কোনো জায়গায় আপনাকে নিয়ে যাবই। কোথায় যাবেন বলুন। চট্টগ্রাম? কক্সবাজার? রাঙামাটি? নাকি নিজের দেশ বরিশাল?’

ওঁদের কিছুটা অবাক করে দিয়েই বলি আমি : ‘নিয়েই যদি যান তো যেতে পারি কেবল একটা জায়গায়। পাকশী তার নাম।’

‘পাকশী? সে আবার কোন জায়গা? হঠাৎ পাকশী কেন?’

‘কেননা, ওটা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। কেননা, ওখানে ছিল আমার স্কুল, আমার জীবনের একমাত্র স্কুল।’

‘মাত্র সেইজন্যেই?’

‘মাত্র? কারো স্কুলে পড়ার সময়টা যে-জায়গায় কাটে, কারো সাত বছর বয়স থেকে পনেরো বছর পর্যন্ত যেখানে কাটে, তার চেয়ে ভালো জায়গা কিছু কী আর হতে পারে?’

এ প্রসঙ্গে পক্ষে-বিপক্ষে আরো কিছু আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত পাকশীতে যাওয়াটাই স্থির হলো। কিন্তু একা নয়, একা-একা আমাকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক সংগত মনে হলো না ওঁদের। ঠিক হলো সঙ্গে যাবে – যেন প্রায় দেহরক্ষী হিসেবে – 888sport live footballপ্রেমী দুই যুবা, মফিদুল হক আর আবুল হাসনাত। নম্র, লাজুক, পরহিতব্রতী।

সেই আমার হাসনাতের সঙ্গে প্রথম পরিচয়।

এই যে তিনটে বিশেষণ ব্যবহার করলাম ওদের বিষয়ে, পাকশী 888sport slot gameকালে তার পরিচয় পাচ্ছিলাম মুহুর্মুহু। বহু 888sport sign up bonusতে রঞ্জিত আমার সেই পুরোনো জায়গা এতদিন পরে দেখছি, আমার তো সেটা ভালো লাগবারই  কথা। কিন্তু মনে মনে ভাবছি, এমনকি বলেও ফেলছি কখনো যে, ওদের হয়তো কষ্টই দেওয়া হচ্ছে, ওদের তো তেমন ভালো লাগবার কথা নয় এসব।

শুনে মফিদুল বলে : ‘আপনার আর আমাদের যে ঠিক একইরকম ভালো লাগবে না, সে তো বোঝাই যায়। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আমরা কী বলাবলি করছিলাম জানেন? বলছিলাম যে, এমন একটা সুন্দর জায়গার কথা এতদিন জানতামই না আমরা?’

হাসনাত বলে : ‘সত্যি, মনটা খুব ভরে গেল।’

নম্রভাষী, স্বল্পবাক, ঈষৎ আত্মগোপনশীল এই যে মানুষটিকে চিনেছিলাম সেদিন, আজ পর্যন্ত ওর সেই পরিচয়টাই দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে আমার মনে। সেই ১৯৭৫ সালের পর থেকে আরো যে পঁয়তাল্লিশ বছর আমাদের যোগাযোগ ঘটেছে 888sport appয় কিংবা কলকাতায় – ওর এই রূপটিই যেন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে।

দুই

ছায়ানটের সংস্পর্শে থেকেই অসম-বয়েসি, কিন্তু সম-স্বপ্নের, সম-সংকল্পের, সম-সংঘর্ষের বা সম-সংগ্রামের পথে এই দুই যাত্রীর কত বিকাশের কথা জেনেছি আমরা পরে।

একটি সংগীত-প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে ভাবলে স্বপ্ন বা সংকল্পের কথা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু সেখানে সংঘর্ষের কথা বা সংগ্রামের কথা ওঠে কেন? ওঠে, কেননা পাকিস্তানি শাসকেরা প্রায় সূচনাকাল থেকেই পুব-পশ্চিম ভেদটা স্পষ্ট করে দিচ্ছিল উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালাবার আয়োজনে। 888sport free betধিক্যে অনেক বড়ো যে পূর্বাংশ, সেকথাটার যেন কোনো অস্তিত্বই নেই পশ্চিমাংশের চেতনায়। তাদের এই আধিপত্যবাদে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল নবগঠিত রাষ্ট্রের সংকট। রাষ্ট্রের দুটি অংশের বিরোধ-সংঘাত প্রবল হয়ে দেখা দিলো ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি 888sport appর প্রকাশ্য রাজপথে যখন ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ধ্বনি দিতে দিতে শাসকের গুলিতে শহিদের মৃত্যু বরণ করল কয়েকজন ছাত্র। এরপর থেকে সাংস্কৃতিক যে-কোনো ক্রিয়াকর্মের ওপর গোপন বা অগোপন আক্রমণ দেখা দেবে, এ-কথাটা সহজেই বুঝে গেল গোটা দেশ। ছায়ানট বা তার সঙ্গে যুক্ত যে-কোনো মানুষ শাসক-সম্প্রদায়ের চোখে সন্দেহজনক শত্রু তখন। তাই সংঘাত বা সংঘর্ষ ছাড়া কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব যে আর সম্ভব নয়, এটা বুঝে নিয়েছিলেন সবাই।

এইভাবে যৌবনের শুরু থেকে সবাই জানছিল যে, ছায়ানটও কেবল এক সংগীত-প্রতিষ্ঠানমাত্র নয়, সংগীতচর্চাই তার একমাত্র কাজ নয়, তাকেও মানবধর্মের মুক্তির পথে সর্বাত্মক ভূমিকা নিতে হবে।

এই ভূমিকাই দীর্ঘকাল জুড়ে বহন করে চলছিল ছায়ানট।

তিন

প্রায়-এক বাউলতীর্থ শান্তিনিকেতন থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত সন্‌জীদা খাতুন রবীন্দ্রশতবর্ষ উদ্‌যাপনের জন্য ১৯৬১ সালে ছায়ানটের প্রতিষ্ঠা করলেন যখন, সেখানে তার সহায়ক হয়ে পাশে দাঁড়ালেন যেন আরেক বাউল ওয়াহিদুল হক। দুই বাংলার সংস্কৃতি যে মূলত একই, তা যে 888sport app download apk আর গানের রসে ভরে থাকে সবসময়ে, আবেগময় এই বিশ্বাসে মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে দেয়ালে দেয়ালে বা মুখে মুখে যেসব স্লোগানে ভরে যাচ্ছিল সবটা, তার মধ্যে প্রধান ছিল কিন্তু গান বা 888sport app download apkরই লাইন। সেসব লাইনে সংগ্রামের আহ্বান ছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু তারও চেয়ে বেশিই ছিল ভালোবাসার কথা। ছিল ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’র মতো লাইন, যা পরে নবগঠিত নতুন এক দেশের জাতীয়সংগীত হয়ে ওঠে। আর জাতীয়সংগীত না হয়েও যেসব 888sport app download apk তাদের কাছে প্রায় মন্ত্রোচ্চারণের মতো হয়ে উঠেছিল, তার মধ্যে প্রধানতম ছিল জীবনানন্দের নানা কাব্যপঙক্তি : ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ/ খুঁজিতে যাই না আর’-এর মতো, গোটা দেশকে ভালোবাসার মতো, আত্মস্থ করে নেবার মতো 888sport app download apkগুলির লাইন, লাইনের পর লাইন। সেই সময়টাতেই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে যাঁদের গোটা অস্তিত্বই হয়ে উঠছিল যেন মূর্ত মানবতার প্রতীক, তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন ছিলেন ওই বাউলমনের ওয়াহিদুল হক, গলায় গান আর মনে অজস্র স্বপ্ন নিয়ে। 

সন্‌জীদা বা ওয়াহিদুলের সাধনার সঙ্গে স্বভাবতই যুক্ত হয়েছিল শিক্ষার্থী বা শুভার্থী নানা মানুষ, বিশেষত তরুণদল। সেই তরুণদেরই একজন আবুল হাসনাত, তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট এক কর্মী।

সূচনালগ্ন থেকে ছায়ানটের অন্যতম কর্ণধার সাইফুদ্‌দৌলা (বা টুনুদা, যাকে এই প্রতিষ্ঠান-সম্পৃক্ত সকলেই সাদরে বলত ‘আমাদের দাদা’) একটি লেখায় বলেছিলেন যে তাঁর ‘বহুদিনের সহকর্মী অনুজ-প্রতিম হাসনাত-এর অনুরোধ’ এড়াতে না পেরে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের উদ্‌বোধন উপলক্ষে প্রকাশিতব্য একটি বইয়ের জন্য ‘হয়তো কিছু বা অসংলগ্ন 888sport sign up bonusচারণে প্রয়াসী হলাম।’

টুনুদার ওই কথাগুলি ছিল হাসনাত-সম্পাদিত স্থির প্রত্যয়ে যাত্রা নামের এক রচনা-সংকলনে। এই সংকলনটির লক্ষ্য ছিল একটা ইতিহাস লিপিবদ্ধ রাখা। কীভাবে যৎসামান্য এক আশ্রয় থেকে শুরু করে একদিন ছ-তলার বিরাট এক সৌধে এসে পৌঁছলো ছায়ানট, এ যেন তারই এক বিবরণ। স্বভাবতই এই বিবরণের সূচনাতেই ছিল সন্‌জীদা খাতুন আর ওয়াহিদুল হকের সুদীর্ঘ দুটি রচনা, যাতে জেগে থাকছিল জাতিধর্ম নিরপেক্ষতার এক ভাবনা, বিশেষত দুই বাংলার ভিতরকার অবাধ যাওয়া-আসার স্বপ্ন। তার পরের লেখাটিই ছিল আমাদের টুনুদার বা সাইফুদ্‌দৌলার মাত্র ছ-পৃষ্ঠার এক 888sport sign up bonusচারণ, যেখানে তিনি কয়েকটি 888sport sign up bonusর ছবিতে সাজিয়ে দিতে চেয়েছেন নানা সময়ের কিছু বিবরণ। এরকম চোদ্দটি মাত্র ছবি, তাও আবার ধারাবাহিক নয়। তাই ওঁর কুণ্ঠার কারণ বোঝা যায়। আসলে কিন্তু ওইটুকু অবসরে তিনি সুন্দরভাবে ধরে দিতে পেরেছিলেন সেই একই জাতিধর্ম নিরপেক্ষতায় দুই বাংলায় যাওয়া-আসার ছবি, তার স্বপ্ন। মুক্ত এক মানবধর্মের স্বপ্ন। 

১৯৭৮ সাল থেকে চব্বিশ বছর জুড়ে সংবাদ নামের এক পত্রিকার 888sport live football-সম্পাদক হিসেবে কাটাবার পর কালি ও কলম নামে অন্য একটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক হাসনাত আরো বিশদভাবে দুই বাংলার রচনাসম্ভার একত্রভাবে প্রকাশ করতে থাকে। তারই এক বিশিষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে তার নিজস্ব উদ্যমে বিষ্ণু দে : 888sport app download apkয় 888sport live chatে বইটি, যা গড়ে উঠেছিল বিষ্ণু দে-র শতবর্ষ 888sport app download for androidে। লক্ষণীয় যে, এর অন্তর্গত আঠাশটি লেখার মধ্যে চারটি মাত্র এপার বাংলার। এইভাবে ওঁরা আপন করে নিচ্ছিলেন বিষ্ণু দে-র মতো এক কবিকে, 888sport app লেখার সঙ্গে যেখানে আছে 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধে বিষ্ণু দে-র ভূমিকা নিয়েও এক নিবন্ধ।

888sport appsের বিষ্ণু দে-চর্চায় এই যে ভাবনা ধারণ করতে চেয়েছে হাসনাত, ঠিক তেমনই প্রায় এই দশ বছর জুড়ে এপার বাংলার জীবনানন্দ-চর্চা স্বতন্ত্রভাবে 888sport appতেও প্রকাশের আয়োজন করছে সে। এইভাবেই একদিন গড়ে উঠল ভূমেন্দ্র গুহ-সম্পাদিত জীবনানন্দ দাশের 888sport app download apk/ মূলানুগ পাঠ (২০১৫), নির্বাচিত জীবনানন্দ দাশ/ মূলানুগ পাঠ/ সম্পাদনা, ভূমিকা ও টীকা (২০১৫)। আক্ষেপের বিষয় এই যে, 888sport appতে প্রকাশিত হবার পর বইটি যখন কলকাতায় ভূমেন্দ্র গুহকে দিতে এলো হাসনাত, ভূমেন তখন মৃত্যুশয্যায়। হাসপাতাল অবধি গিয়েও হাসনাত বইটি দিয়ে উঠতে পারেনি ভূমেনের হাতে, এই আক্ষেপ সারাজীবন বয়ে চলছে হাসনাত। প্রস্তুত তার অন্য কাজগুলি অবশ্য বেরিয়েছে পরে, ২০১৬ সালে : সুতীর্থ, মাল্যবান, কারু-বাসনা, আমরা চার জন

এইভাবেই তাহলে সম্পন্ন হচ্ছিল এপার বাংলা ওপার বাংলার মিলনসাধনা। দুই পারে বিচ্ছিন্ন থাকলেও মূলত বাংলা সংস্কৃতি যে একটা ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, এইসব বিশ্বাস সমৃদ্ধ করে তুলছিল যাদের, তাদেরই একজন আবুল হাসনাত।

চার

১৯৭৫ সালের পর যে আটবার 888sport appয় গিয়েছি আমি, ওই প্রতিষ্ঠান-লগ্ন টুনুদারই বা তাঁর কোনো-না-কোনো নিকট-আত্মীয়ের আহ্বানে আর আশ্রয়ে, সেটা একমাসের জন্য হোক বা মাত্র দুদিনের, তখন অবশ্যই যাদের সঙ্গে  দেখা হতো বা কথা হতো তার মধ্যে হাসনাতও একজন।

কাজের সুবাদে হাসনাত কলকাতায় এসেছে বহুবার। তবে এখানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে অল্পই। টেলিফোনে জানাত ওর এসে পৌঁছনোর খবর। জানাত আমার সঙ্গে দেখা করবার ইচ্ছেরও কথা। কিন্তু সেটা ঘটে উঠত না প্রায়ই। স্বভাব-লাজুকতায় নিজেকে একটু আড়ালে রাখবারই চেষ্টা করত যেন। তারও মধ্যে যে দু-চারবার সে এসে পৌঁছতে পেরেছে আমাদের বাড়িতে, অনেকসময়ে ভিড়ের মধ্যে, আরো যেন আড়ষ্ট হয়ে গেছে ওর কথা। আমিও যে সবার সঙ্গে সবসময় বাঙ্ময় থাকতে পারি, এমনও তো নয়।

যখন পুরোনো 888sport appর যুগীনগর বা পরে তার ধানমণ্ডির বাড়িতে সস্ত্রীক গিয়েছি আমরা নিমন্ত্রিত হয়ে, তখন দেখেছি দেয়ালে দেয়ালে সাজানো – এমনকি সিঁড়িপথে – দেশ-বিদেশের 888sport live chatীদের মূল ছবির সম্ভার, যেন এক ছোটোখাটো 888sport live chatজাদুঘর সেটা। সেসব সময়ে অন্যসব দেখাশোনার তুলনায় যেন একটু খুলে কথা বলত হাসনাত। ছবির প্রেমে আপ্লুত তাকে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাত তখন।

আমি ভাবি, আমাদের দুজনের সম্পর্ক যেন চলেছে নিঃশব্দের তর্জনীসংকেতে। অবশ্য চোখে চোখে দৃষ্টিও তো একটা সংলাপ। কিন্তু মুশকিল এই যে তার সঙ্গে দৃষ্টিবিনিময়ের আলাপ হওয়াও শক্ত, কেননা নতচক্ষু ছাড়া তাকে আমি প্রায় দেখিই না কখনো।

পাঁচ

সেই হাসনাত নেই? এ কি হতে পারে কখনো? অবিরাম বিনিময়ে আমাদের পারস্পরিক যে সম্পর্ক, মুক্ত মানবতার স্বপ্নের ঐক্যে যে সম্পর্ক ছিল আমাদের, তা তো কখনো লুপ্ত হবার নয়। তাই হাসনাত যে নেই, এ-কথাটার কোনো মানেই নেই আমার কাছে। r

শ্রুতিলিখন। কৃতজ্ঞতা : স্নেহাশিস পাত্র