888sport sign up bonusর ছায়াপাত

\ ৭ \

 

রানি বিলকিস ও মৃগনাভির সৌরভ

সারাটা দিন খুব টেনশনে কাটে সাবিনার। নীহার বানু তখনো জানেন না, সকালে বাবা-মেয়ের কী বাতচিত হয়েছে। তিনি তখন ঝড়ো হাওয়ায় গাছের পাতাঝরা দেখছিলেন। আর ইয়াদ করতে চাইছিলেন ওমর খৈয়ামের সেই 888sport app download apkটি – ‘দুঃখে যখন ছেয়ে যাবে মন। রাত্রি যখন চাইবে না শেষ হতে। হৃদয়ে তখন বৃষ্টিস্নাত শ্যামল ছবিটা এঁকো… ।’ উঠে গিয়ে হাতআয়নায় চোখে সুরমা আঁকেন নীহার বানু। সাইড টেবিলের দেরাজে আতরের শিশিটা না পেয়ে শ্যামলাকে ডাকেন। গলার স্বরটা এত ক্ষীণ যে, নিজেও সেই ডাক শুনতে পান না। গতরাতটা নির্ঘুম কেটেছে দুজনের। যে বয়সের যা, আহার-নিদ্রায় ভাটা তো পড়বেই। দরজার ফাঁক দিয়ে কাছিমের মতো গলা বাড়াতে তাঁর নজরে পড়ে – সাবিনা ঝুঁকে দাঁড়িয়ে মোয়াজ্জেম হকের প্রেসার মাপছে। মেয়ের এমন সুমতি, যে খানার ওক্ত ভিন্ন নিচের তলায় নামেই না! রাতদিন বই-কাগজ-কলম। তবু ওর উপস্থিতি বাড়িটা যেন সরগরম রাখে। রাতের প্রহরে প্রহরে ঘুম ভেঙে মনে হয়, ধারে-কাছে তাঁর এক সমত্মান আছে, কোনো বিপদ হলে যে এক ডাকেই ছুটে আসবে।

নীহার বানুর চোখে চোখ পড়তে শ্যামলা ছুটে আসে। তিনি আতরের কথা ভুলে গেছেন। ওমর খৈয়ামের 888sport app download apkর যাও বা একটুখানি মনে আসছিল, খাট থেকে ওঠানামা করতেই গায়েব। তারপর কোন মুখে নিজের 888sport sign up bonusশক্তির বড়াই করবেন নীহার বানু! আলস্নাতালারই বা এ কেমন বিচার, জিন্দাবস্থায় একে একে সব কেড়ে নিচ্ছেন!

‘আম্মা, আববার বিপি আপডাউন করছে!’ সাবিনার চাপা ভয়ার্ত স্বর কানে গেলেও নীহার বানু সাড়া দেন না। জানালায় মুখ করে বিড়বিড়িয়ে কী যেন বলেন। সাবিনা সরে এসে রোখসানাকে ফোন করে। নীহার বানু যাতে শুনতে না পান, সেইভাবে দুবোন কথা বলে অনেকক্ষণ। তাদের নরম-গরম কথাবার্তার পর, আপাতত ঘুমের বড়ি দিয়ে রোগীকে ঘুম পাড়ানোই সাব্যস্তহয়।

মোয়াজ্জেম হক ঘুমিয়ে পড়লে শিয়রে পাহারায় বসে সাবিনা। ভয়টা আজরাইলের চেয়েও নীহার বানুকে নিয়েই বেশি। কখন টলতে টলতে এসে ঘুমন্ত মানুষটাকে টেনে তোলেন! বাহানারও শেষ নাই। অজু-নামাজ, ওষুধ খাওয়ানো নয়তো গোসল। পাশের ঘর থেকে মায়ের নাকডাকা কানে আসতে বাবার মাথার কাছে কাত হয়ে চোখ বুজে সাবিনা। বাড়িটা যেন ঘুমপুরী। শ্যামলারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। মওকা পেয়ে রসুইঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে হয়তো।

সকাল থেকে সাবিনার ওপর দিয়ে যেন ঝড় বয়ে গেছে। নিরোর কথাটা না তুললেই পারত, যেখানে ওর রোগী সামলানোর ক্ষমতা নাই! তা ছাড়া দুজন বুড়ো-বুড়ির নখ কাটা, গাছের বাকলের মতো খড়খড়ে শুষ্ক ত্বকে তেল মালিশ, ঘড়ি ধরে ওষুধ খাওয়ানোর মতো আত্মোৎসর্গকৃত সেবাপরায়ণাও নয় সে। অল্পতেই হাঁফ ধরে। যদিও ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা, ওকে একাই করতে হচ্ছে এসব। আসলে সবার ছোট বলেই কিনা ওর সংসার বা চাকরি কারো কাছেই গুরুত্ব পায়নি কোনোদিন। চাকরি চলে গেলে ওরা হাসত। প্রথম বিয়েটা ভেঙে যাবার পর, মেয়ে যেন দিগবিজয় করে ফিরেছে, বাবা-মায়ের কাছে হঠাৎ ওর কদর বেড়ে যায়। উৎসবে মেতে ওঠে বাড়িটা। ‘সাবা, তোমার আর ভাবনা কী,’ বিয়ে ভাঙার পরপরই যখন ও চাকরি হারায় তখন রোখসানা বলেছিল, ‘এক পেট এমনিই চালাইতে পারবা।’ খুলে বলে না যে, ‘এখন বাপ-মায়ের সেবা করে সওয়াব হাসিল করো। অঢেল সময় পাইছ তো হাতে।’ আর মেজো ভাইয়ের মতলবটা কী আসলে? সাবিনা বিছানায় চোখ বুজে পা নাচাতে নাচাতে ভাবে – পারিবারিক সোনালি ইতিহাস লেখার টোপ ফেলে ওকে কি বৃদ্ধাশ্রমে পুনর্বাসিত করলেন?

সেবার মোয়াজ্জেম হক যখন পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, যথারীতি একা সাবিনাকেই রাতের ডিউটি করতে হয়েছে। তখন শীতের শেষাশেষি। গাছের পাতা সবে ঝরতে শুরু করেছে। ভোরের দিকে গায়ে কম্বল টেনে নিতে হয়। স্যাভলনের গন্ধযুক্ত হাসপাতালের লোমশ কম্বল। কেবিনের সিঙ্গল দুটি খাটজুড়ে ডবল বেড বানানো হয়েছিল। মেঝেতে তোশক পেতে সাবিনার শোয়ার ব্যবস্থা। সারারাত প্রায় নির্ঘুম কাটিয়ে সকালে ওকে কাজে ছুটতে হতো। অফিস ছুটির পর আবার সেই হাসপাতাল। অবশ্য অল্প দিনের মধ্যে মোয়াজ্জেম হক যখন হাসপাতালের করিডরে সাদা দেয়াল ধরে পাশ-হাঁটা শুরু করেন, সাবিনা বাসায় ঘুমাতে চলে যেত। সকালে নাশতা নিয়ে কেবিনে ঢুকতেই শুরু হতো নীহার বানুর এমত্মার অভিযোগ: সঙ্গে ভাড়া করা আয়া থাকলেই কি, তাঁর কি বয়স আছে রোগীর সেবা করার! মেজো ছেলে তো বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েই খালাস, যেন টাকাকড়িই মানুষের জীবনের সব। ডাক্তার মেয়ের গায়ের অ্যাপ্রন গায়েই থাকে। হিল খটখটিয়ে বাপের নাড়ি টিপে গম্ভীর মুখে চলে যায়। যখন নাকে চশমা ঝুলিয়ে খাটের স্ট্যান্ডে লটকানো চার্টটা নেড়ে-চেড়ে দেখে, তখনো মুখে রা নাই। তারপর চোখের পলকেই পগারপার। নীহার বানু যখন দুনিয়ার দিগদারি উগড়ে দিয়ে সাবিনার আনা টিফিনবাক্স খোলেন, তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় সটান কপালে – হসপিটালে জেলি-মাখা পাউরুটির অভাব! আর এ রকম ট্যালটেলা স্যুপ বেসিনে ঢালার জন্য এখানে রোজই ট্রলি ঠেলে বিলি করে। বাইরে ঠাটবাট, ভিতরে সদরঘাট!

কাকে বললেন কথাটা! সাবিনার মাথায় যেন টং করে একটা আওয়াজ হয়। আম্মারই বা কী এমন রান্নার বাহার – তবু মুখ ফুটে বলে না সে। ছোটবেলার মিটসেফে লাথি মারার মতোও সিনক্রিয়েট করে না তখন। নিজেই ফোটানো পানিতে পেয়ালা ধুয়ে ফ্লাস্ক থেকে স্যুপ-ঢালে, কাগজের ছোট ছোট পুরিয়া খুলে টেবিলে রাখে টেস্টিং সল্ট, গোলমরিচের গুঁড়া…

বৃষ্টিটা ধরে আসে। সঙ্গের ঝড়ো বাতাসও ধীরে ধীরে বিরাম নেয়। নীহার বানু ঘুমে থাকতেই সাবিনা আরেকবার মোয়াজ্জেম হকের প্রেসার মেপে রান্নাঘরে যায়। শ্যামলাকে ডেকে তোলে ঘুম থেকে। রোগীকে দুপুরবেলা স্যুপ খাওয়াতে বলেছে রোখসানা। ফোনে আববা নয় রোগীই বলেছে। বলেছে – রোগীর দুর্বল শরীর চাঙ্গা করতে বাচ্চা মুরগির স্যুপ। তা শোয়াবস্থায় খাওয়াতে সুবিধাই হবে। যদিও বিকাল নাগাদ ঘুম জড়ানো চোখে মোয়াজ্জেম হক সামান্যই খেলেন। বাকিটা নীহার বানু। স্যুপের স্বাদ নিয়ে পিজি হাসপাতালের সকালগুলোর মতো আজ কোনো অভিযোগ নেই। স্বামী যে বিছানা থেকে উঠছেন না, এ নিয়েও চিন্তিত নন। সাবিনাকে নিচতলায় ঘুর ঘুর করতে দেখে মুখে কিছু বলছেন না, যদিও বোঝা যাচ্ছে মনে মনে বেশ খুশি। একবার শুধু বললেন – ওমর খৈয়ামের কী এক 888sport app download apk সকাল থেকে মনে আসছে না।

‘সম্রাট বাহরাম গুরকে নিয়ে লেখা রুবাইটা কি?’ সাবিনার সওয়ালে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে জড়ানো গলায় আবৃতি করেন নীহার বানু, ‘এই সে প্রমোদ-ভবন যেথায় জলসা ছিল বাহরামের। হরিণ সেথায় বিহার করে, আরাম করে ঘুমায় শের।’ না, এটা নয়। নীহার বানুকে আরও বিমর্ষ দেখায়।

সাবিনা চেয়ার টেনে নীহার বানুর পাশে বসে। মনে বেজায় দুঃখ নিয়ে ভাবে, আগের মতো আম্মার যদি বই পড়ার নেশাটা থাকত! এখন এ নিয়ে কথা উঠলে জাঁক করে বলেন – পাঠকের মৃত্যু! জীবজন্তু, পশু-পাখির মতো পাঠকও নাকি মৃত্যুবরণ করে তার পাঠকসত্তা মরে গেলে। তখন কি অন্যকে পড়তে দেখলেও বিষ বিষ লাগে? নীহার বানু তা মুখে স্বীকার না করলেও সাবিনাকে বই নিয়ে বসতে দেখলেই তাঁর লাগাতার ফুট-ফরমাস। হয় গা-ব্যথা, নয় পা-চিবানি – কত কী শুরু হয় তখন! তাই ওপরতলা থেকে আজকাল নিচে নামাই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে সে। মায়ের চোখের আড়ালে কীভাবে থাকা যায়, সারাক্ষণ সেই ফিকির।

নীহার বানুর স্যুপের বাটি খালি হতে সাবিনা আরেক হাতা তুলে দেয়। এমন বিবর্ণ আর বিস্বাদ! তবু বিড়ালের মতো মাকে চুক চুক করে স্যুপ খেতে দেখে সাবিনার মনে হয়, ওর মা নিরীহ বিড়াল-স্বভাবা, তা কিছুতেই মানায় না। লেজে পা-পড়া হুলোর মতো দাঁত খিচিয়ে ফ্যাচ করে উঠলেই বরং মানাত ভালো। এ রকমই তো বরাবর দেখে এসেছে। আর নিজেও সে এমনটাই হতে চেয়েছে। অবিকল মায়ের মতো আরেক 888sport promo code। সে 888sport promo codeটি কখনো কখনো মনে হতো সাবার রানি বিলকিস। সাবা যে আরব উপদ্বীপের অতীতের একটি সমৃদ্ধশীল দেশ, যা বর্তমানের ইয়ামেন – তথ্যটা জানার পর সাবিনা নীহার বানুর কান ঝালাপালা করে দেয়। যত সমৃদ্ধশালীই হোক, তার নাম কেন দেশের নামে রাখা হলো, সাবা কেন রাখা হলো, বিলকিস কেন নয় – বিশ্বসেরা সিংহাসন যার, সেই রানির নামে নাম! সে রত্নখচা সোনার সিংহাসনে বসে থাকে পোখরাজের জলচৌকিতে পা দুটি তুলে দিয়ে। তারপর একদিন চিকচিকে মরুভূমির বুকে দাগ কেটে জেরুসালেমের দিকে চলে এক অপূর্ব ক্যারাভান। সাবার রানি বিলকিস তাতে সওয়ার। যাচ্ছে সে সুলেমান পয়গম্বরের জ্ঞানের পরীক্ষা নিতে। রানির আগমন উপলক্ষে সুলেমান তাঁর প্রাসাদ-আঙ্গিনা আয়না দিয়ে বাঁধিয়েছেন। তা জল ভেবে বিলকিস পরনের লম্বা ঘাগরা টেনে ওপরে তুললে পয়গম্বর রাজা তো তাজ্জব – সোবহানালস্নাহ, এমন পরমা সুন্দরীর পায়ে পুরুষের মতো পশম কেন!

সাবিনার পায়ে যখন ঘন হয়ে লোম গজাতে শুরু করে, ততদিনে রানি বিলকিস হওয়ার ইচ্ছাটা উবে গেলেও নীহার বানুর মুখে ফের গল্পটা শোনার বায়না ধরে সে। ‘তারপর কি পয়গম্বর সুলেমানের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়?’ নীহার বানু অবাক চোখে মেয়ের দিকে তাকান – ‘কার?’ ‘রানি বিলকিসের?’ এতদিন পর এমন অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন, মাটির দিকে মুখ নামিয়ে কী যেন ভাবেন নীহার বানু। হয়তো ভাবেন মেয়ের বয়ঃসন্ধি বা সুলেমান নবীর সঙ্গে রানি বিলকিসের অন্তরঙ্গতা। গল্প বলায় কোথাও কি তাঁর গাফিল হয়েছে? রাজা সুলেমান এমন এক মহান পয়গম্বর, যার তাঁবে ছিল জিন-ইনসান-বায়ূ। জিন তাঁর জন্য তৈরি করত বিশাল বিশাল ইমারত, পুকুর-সমান থালা, আর বড় বড় ডেক-ডেকচি। নীহার বানু বোতলবন্দি জিনের গল্পও তখন শুনিয়েছেন মেয়েকে। তবে বরাবরই সাবিনার কৌতূহল সাবা তথা রানি বিলকিস উপাখ্যান ও তার পাভর্তি পশম নিয়ে। মনে প্রশ্ন পয়গম্বরের জ্ঞানের পরীক্ষা নিতেই কি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে জেরুসালেম সফরে গিয়েছিল রানি? নাকি রাজা পয়গম্বরকে তাক লাগানো কি বশ করবার বাসনা ছিল মনে মনে? না হলে রানির কাফেলায় বেশুমার দাসদাসী, উট, সোনা-দানা আর মৃগনাভিসহ নানা উপঢৌকন বহনকারী গর্দভ থাকবে কেন। অবশ্য নজরানা দান তো সে যুগেরই রেওয়াজ। তা সত্ত্বেও রাজা সুলেমানকে রানি যে পরিমাণ সুগন্ধি উপহার দিয়েছিলেন, দুনিয়ায় এর দুসরা কোনো নজির নাই।

সাবিনার তখন মনে হতো মায়ের বুকে নাক ঘষলে সেই মৃগনাভির গন্ধটাই বুঝি পাওয়া যাবে। অথচ কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া দুধেল গন্ধ। তাছাড়া পেয়ারা, শরিফা, চাঁপাকলার ঘ্রাণও সে পেত সিজনে সিজনে। ফুলের সুবাস কদাচিৎ। জুঁইফুলের গন্ধটা পেয়েছিল মোটে একবার। ওরা তখন 888sport appর বাসের জন্য মোয়াজ্জেম হকের ডিসপেনসারির পেছনের ঘরে অপেক্ষা করছিল। তিতু মামার শালিকার শাদি উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানীর পথে তাদের সেদিনের যাত্রা। তখনো মোয়াজ্জেম হকের ডিসপেনসারির নাম ‘নেতাজি ঔষধালয়’। নীহার বানু গায়ের কালো বোরকা খুলে সুটকেসে ভরে তালা মেরে দেন। সাবিনাকে বলেন, শাড়ির কুচি ঠিক করে দিতে। হাতআয়নায় চোখে গাঢ় করে কাজল আঁকছেন যখন, তখন স্প্রিংয়ের হাফডোর ফাঁক করে মোয়াজ্জেম হক ময়ূর-রঙিন মখমলের ছোট্ট একটি বাক্স দেন নীহার বানুর হাতে। ওটাতে ছিল সুন্দর একজোড়া কানপাশা। পারফিউমের শিশির কথা সাবিনার মনে নেই। সে যাত্রায় আর কোনো ভাইবোনও তাদের সঙ্গে ছিল না। নীহার বানু বোরকা ছাড়াই বাসে উঠেছিলেন। মোয়াজ্জেম হকের হাতে সুটকেস। কম্পাউন্ডার কাকু সাবিনাকে সিটে বসিয়ে দিতে বাসটা চলতে শুরু করে। তারপর শুরু হয় সাবিনার বমি। তখন নীহার বানুর গায়ে আর জুঁইফুলের গন্ধটা ছিল না। পেট্রল আর সাগরকলার গন্ধটা বাসের রড ধরে অনেকক্ষণ ওর নাকের ওপর ঝুলেছিল।