আহমাদ মোস্তফা কামাল
-

প্রেমে ও প্রার্থনায়
‘ছোটবেলায় সিলেট ডিস্ট্রিক্ট জেলের সামনের মাঠে ক্রিকেট খেলতাম। আমার বন্ধু গৌস সুলতানের বাবা ছিলেন জেলের ডাক্তার। সেই সুযোগে অনেক কয়েদির সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তারা সবাই বেতের জিনিসপত্র বানাত। সেগুলো জেলের সামনের রাস্তার পাশে ‘কেইন শপ’-এ বিক্রি হতো। কেন জানি এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেই ছোটবেলাতেই, যে, কয়েদিদের তৈরি চেয়ার-মোড়ায় কখনো বসবো না। বড়ো হলে এসব…
-
অ্যা স্পিরিচুয়াল জার্নি
কল মি লাইক মোজাফ্ফর হোসেন – ক্রিয়েটিভ 888sport app লিমিটেড 888sport app, ২০২৫ – ৪৫০ টাকা মোজাফ্ফর হোসেনের দ্বিতীয় 888sport alternative link কল মি লাইকা পড়ার পর মনে হলো, লেখক এই 888sport alternative linkে একটি স্পিরিচুয়াল জার্নি সম্পন্ন করেছেন। এও মনে হলো যে, মোজাফ্ফর তাঁর আগের সব কাজকে ছাড়িয়ে গেছেন এই জার্নির ভেতর দিয়ে। শুধু তাই নয়, আমি অনুভব করে উঠলাম…
-

জাতিস্মর অথবা নরকের গল্প
তরুণ লেখকরা মাঝে-মাঝে আমার কাছে আসেন, আসেন সাংবাদিকরাও, যদিও তাদের আসার উদ্দেশ্য এক নয়। সাংবাদিকরা আসেন পেশাগত প্রয়োজনে, কোনো বাজারচলতি বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য, তাদেরকে গরম গরম খবর পরিবেশন করতে হয় কি না! কেউ-কেউ অবশ্য ফোন করে বা মেসেজ করেও মন্তব্য চান – মানে এসে কথা বলার মতো সময় নেই; তাছাড়া, হাতের মুঠোয় যোগাযোগ-যন্ত্র তো…
-

গল্প নয়, জীবনকাহিনি
পুরনো দিনের একটা গানের কথা মনে আছে আপনাদের? সেই যে – ‘গান নয় জীবনকাহিনি, সুর নয় ব্যথার রাগিনী’, রুনা লায়লা গেয়েছিলেন তাঁর অপূর্ব দরদি কণ্ঠে, সেটির কথা বলছি। গানটা বন্দিনী সিনেমার, লিপসিং করেছিলেন ববিতা, অনিন্দ্যসুন্দর তরুণী ববিতা। জানেনই তো, তিনি এমন এক নায়িকা, জীবনানন্দের ভাষায় যাকে বলা যায় – ‘এ পৃথিবী একবার পায় তারে পায়…
-
বিভ্রম কিংবা বিড়ম্বনার গল্প
তিন বছর বয়সী কন্যা অর্চিকে নিয়ে কবীর আর লিলির ছোট্ট সংসার। নির্ঝঞ্ঝাট, ঝামেলাবিহীন। দুজনেরই মা-বাবা-আত্মীয়স্বজন থাকে গ্রামে বা মফস্বলে, এই শহরে তাদের প্রায় কেউ নেই। বন্ধুবান্ধবও কম, আঙুলে গোনা। টেনেটুনে ভালোই চলছিল তাদের, অন্তত তারা ভালো বলে মেনে নিয়েছিল এই ভেবে যে, একভাবে না একভাবে তো চলছে, কত মানুষের যে চলছেই না! কিন্তু ইদানীং, না…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ২১ 888sport appয় ফিরে আরিয়ানা জানালো, বাকি কয়েকদিন আর বাইরে বেরোতে চায় না সে। বাসাতেই থাকবে। এই বাসা আর আরিয়ানার বাড়ির মধুর 888sport sign up bonus নিয়ে সে ফিরে যেতে চায়। তাই হলো। আরিয়ানা বাসার প্রতিটি রুমে ঘুরে বেড়ালো, খুঁটিয়ে দেখলো এটা-ওটা সবকিছু – যেন নিজের স্পর্শ রেখে যেতে চায় সর্বত্র, চাচির কাছে বসে বাংলা রান্না শিখলো,…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৯ নাস্তার টেবিলে বসে ঋভু খেয়াল করলো, দুজনেই বেশ চুপচাপ। এর মধ্যে কী হলো আবার? মা-মেয়েতে মনোমালিন্য? নাকি অন্য কিছু? কিছুক্ষণ পর সোফিয়া বললো, একটা কথা জিজ্ঞেস করি বাবা? – করো। – এই দেশে কাজের সুযোগ কেমন? – কাজ মানে? – মানে আমি যদি পড়াশোনা শেষ করে এখানে আসি তাহলে কাজ পাবো? –…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৮ দিনগুলো যেন দ্রুত যাচ্ছে এখন। অংশু হঠাৎ করেই কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি শুক্রবার যাওয়ার কথা থাকলেও দুদিন পরপরই মানিকগঞ্জ যাচ্ছে ও। ঋভুও সুযোগ পেলেই সঙ্গী হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেউথা থেকে টিন-কাঠের তৈরি দুটো রেডিমেড ঘর এনে জমির এক পাশে স্থাপন করা হয়েছে। একটা শ্রমিকদের জন্য, অন্যটা অংশু এবং শুভর জন্য, যখন যে…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৭ অবন্তির যাওয়ার দিন ঘনিয়ে এলো। তার আগে একদিন অংশুর বাসায় আড্ডা হলো খুব। বিকেলেই সবাই হাজির হয়ে গিয়েছিল। ঋভু অফিস থেকে আগেভাগে বেরিয়ে অবন্তিকে নিয়ে এসেছিল। সন্ধ্যার পর সাততলার গেস্টরুমে পানাহার আর আড্ডা চললো ঘণ্টাতিনেক ধরে। তারপর নিচে নেমে ডিনার সারলো সবাই। অপলা নিজেই রেঁধেছে আজকে। দেশি কই মাছের দোঁপিয়াজি আজকের প্রধান…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৬ আড্ডা আর জমলো না। টুকিটাকি কথাবার্তা হলো, একটু-আধটু দুষ্টুমি, ডিনার শেষ হলো প্রায় নিঃশব্দে। ঠিক হলো, অংশু আর অপলা বাসায় চলে যাবে, ঋভু অবন্তিকে নামিয়ে দিয়ে আসবে। বিদায়ের সময় অপলা বললো, কালকে আপনারা আমার বাসায় আসেন। কই মাছের ভুনা খাওয়াবো। – কালকে না। আমার অন্য একটা কাজ আছে। বললো অবন্তি। – তাহলে…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৫ অংশু আর অবন্তির দেখা হলো পরের দিন, অংশুর অফিসে। অবন্তি বেশ গম্ভীর, মনে হচ্ছে কোনোকিছু নিয়ে খুব চিন্তিত। সবসময় যে হাসি-আনন্দ-উচ্ছলতায় মেতে থাকে, তার এই গাম্ভীর্য মোটেই ভালো লাগছে না। অংশু বললো, কী হয়েছে তোর? – কই কিছু হয়নি তো! – তাহলে এরকম ঝিম মেরে আছিস কেন? – মাথার ভেতরে সব জট…
-

জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১৪ সারাদিন অবন্তির সঙ্গে যোগাযোগ হলো না বলে মন খারাপ লাগছিল ঋভুর। কথা তো হয়ইনি, এমনকি মেসেজেরও উত্তর দেয়নি অবন্তি। আজকে ও ব্যস্ত থাকবে, জানে ঋভু। তাই বলে এতটা? অংশুও সারাদিনে একবার খবর নিল না! অবশ্য ছুটির দিনে সেও নানা পারিবারিক বিষয়-আশয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ওদের জীবন আমার থেকে আলাদা, অন্যরকম – ভাবলো…
