কাজলেন্দু দে

  • হৃদয় শুকিয়ে গেলে

    হৃদয় শুকিয়ে গেলে অরণ্যও ন্যাড়া হয়ে যায়; অক্ষয় মালবেরী থেকে ইমনকল্যাণ রাতের কম্বলের ওম বুকের উঠোনের আলপনা বটের শিকড়ে বাঁধা নাও – মুহূর্তেই ভেসে যায় সুনামির জলে। হেমন্তের ডায়েরি ঠোঁটে নিয়ে ইষ্টিকুটুম যখন কার্নিসে উড়ে এলো তখনো কাঁদছিল পিপাসার্ত প্রান্তিক পিয়াল। আর, আমাদের দিনরাত্রি ব্ল্যাকহোলের ভেতর নতুন তারার জন্ম দেখার আশায় শেষমেশ দিবাস্বপ্নে মুহ্যমান –…

  • শিকড়ের ডানা

    মেধাবী অক্ষরগুলো পায়ে পায়ে হাঁটে বহুদূর – পাকদণ্ডী বেয়ে ওঠে পাহাড়চূড়ায়। ওখানে কি হ্রদ আছে? সুবাতাস? জল? শ্মশানের কাছাকাছি ফিরে আসি। সকাল ফুরায়। দুপুরে ঘুঘুর ডাকে বেহাগী বসন্ত সুর তোলে, কাঁপে শিমলতা হাঁটতে হাঁটতে ভাবি, সব ভুলে যাবো তবু থাকে কিছু চিহ্ন, কিছু ব্যাকুলতা। বসন্ত-পেরোনো মাঠে বটগাছ বিহ্বল বিনিদ্র জেগে থাকে – টবের শহরে থমকে…

  • সাঁকো

    পরাবাস্তবের মাঠ থেকে কিছু দূরে এই সাঁকো, ধানিজমি, পাখিদের আলাপচারিতা। তারপর এলনিনোর হঠাৎ আবির্ভাব চোখের পাতায় নেমে-আসা স্বপ্ন থেকে জন্ম নেয় ক্লান্তি, অবসাদ অরণ্যের বাস্তুতন্ত্র লুট হলে ক্যানভাসে কালো রং বেড়ে যায় তারপর হাওয়া ওঠে ভেসে আসে পোড়াকাঠ, অস্থিকলস। ঋতুপরিবর্তনের পথের দক্ষিণ পাশে মূর্তিমান এই ঝড় – 888sport sign up bonusভেজা স্বরলিপি বটপাতা, বৈঠার আওয়াজ চৈত্রের বাঁশির সুর…

  • জীবন

    উঠোনের একপাশে আটপৌরে পুরনো বাগানে হাওয়ার সেতার শুনে ঘুম ভাঙত কণ্ঠী ঘুঘু – বনতুলসী-মাধবীলতার। রোদ্দুরে হাত-পা সেঁকে শীতের সকালে আমরাও আসতাম সুন্দরের খোঁজে। পঞ্চশর হাতে যার, যে-অতনু বন্ধ দরোজা খুলে দেয়। বৃষ্টিধোয়া তরুণী গাছের সাজগোজ শান্ত চোখে মিশে যেত গোধূলি তরঙ্গে দশ খুশির বোল আর জয়ঢাক সারাদিন বাজত এই বুকে। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে প্রসন্ন সন্ন্যাসী…

  • একটি জারুল গাছ

    নদী যেথায় অথই ধারায় বাহিত স্রোতস্বিনী ছিল ওখান থেকে একটু সামান্য দূরে অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা পথরেথা, সোনাঝরা গ্রাম ঝোপঝাড়, গাছপালা কাশবন শিউলি-বকুলের গন্ধ আর শান্ত শীতের সকাল পলাতক বালকের মতো দিগন্তে হারিয়ে গেছে। আর, এ-গাঁয়ের নক্ষত্রসোহাগী রাত অমরাবতীর গল্প শুনে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে চেয়েছিল … সেও, দ্যাখো, ওই দূর শহরের আইসিসিইউ’র কাচঘরে এথন বন্দিনী।…