রীপা রায়

  • শুভ্রা

    বৃন্তমঞ্জিমায় ফোটা বিন্দু অতুল মাতৃকাতরতায় সঞ্চরণ সমীপে শরৎ, হেমন্তের পরম আত্মীয় জবুথবু বিন্দু মৃদু গন্ধে ব্যাকুল। অনেক উঁচুতে লুকানো স্পন্দন গাঁথা আত্মিক বিকিরণে সঙ্গ জড়াই নিস্তব্ধ, সঞ্চিত স্বর গলে গলে যায় নির্ভার, নির্বিষ যেন বৃক্ষমাতা। তোমার প্রবল ও অন্তর্মুখ খসে পড়া টের                                           পাই অন্ধকারে ফোটা শিহরণ আধো ভোর-আলো নিমগ্ন ঝরে পড়া আলো মাটিতে দপকালো…

  • দামিনী

    আমার সুতির শাড়ি, সিদ্ধ ভাত স্বীকৃতি না ফেরত দাও ওই ফর্সা মেয়ের ধবধবে ফুল খুইয়ে গেছে – মিলিয়ে                                                     দাও। শাপলা-শালুক ফুলদানিতে চোখের সতেজ সবুজ-ভাব, ভাল্ লাগে না-ভাসিয়ে দাও। জন্ম-মাখা জীবন-বচন পায়রা পোষা মার্জারিকা বিছিয়ে আছে চিরন্তন – মিথ্যা দাও। আমার সুতির শাড়ি, সিদ্ধ ভাত বুনন গাথায় রাংতা কম ঝোপ-জঙ্গলে লুকিয়ে রাখি – ফেরত দাও।…

  • দোলমা

    কী সুন্দর ছেলে কোলেতে পথের পাশে পসরা সাজায় কী আনন্দে ধুলা উড়ানিয়া কাঁখের মেয়ে বঙ্গ মাখায়। খাটো কাপড়, রং-ঝরা পিঠ মাসকাবারির বাতাস ভরায় কড়া রঙে সিঁথি কাটা, শিমুল-পলাশ ঠোঁটে ফোটায়। আটপৌরে মিল শাড়ি ভাঁজে বাঙাল মাতা কোলে নাচে সুঠাম বাহু, জমাট পেটে প্রাচ্য 888sport promo code দোলে বাঁচে। এসব কি আর চোখে আটে হিল তোলা রূপ উড়াল…

  • দণ্ড

    মাথার ওপরে চড়া রোদ কখনো বেদম বৃষ্টি-ঝড় শকুনের চোখ পাক খায়, পাক খায় উন্মত্ত ক্রোধ – হাজার কোটি প্রকরণ ভিড়ে কিছু গাছ থাকে; দানাসহ ফল ধরে বুক ফুঁড়ে-ছিঁড়ে – কতশত সয়ে-বয়ে-সব্ব – কিণ¦ আকণ্ঠ ধারণ করা ২০২০ জন্মশতবর্ষে দগদগে ক্ষতচিহ্ন। অথচ অক্ষত বন্ধুবরেনেষু মাঠে-ঘাটে-প্রান্তরে, দ্বারে দ্বারে আশরাফুল মখলুকাত বিপন্ন সুজনেষু। ‘আমার হাতের তর্জনী কোথা গেল…

  • উত্তরণ নামতা

    রীপা রায় ধুলা-উড়ানিয়া মাটির টানে মিশে যাচ্ছে পাখির মাত। কোথাও কিছু জমছে ধ্বনি ফুটবে বলে অষ্টধাত। ব্যসনবোধির ব্যাপন দিন যাচ্ছে চলে ভালোয় ভালোয়। ট্র্যাপিজ ঘেরা কালক্ষেপণ অনুধ্যানে মৃদু লয়। পুত্রলাভে কুন্তির গান প্রকীর্ণ স্বর কুরঙ্গ লুট। বালিতটে সাগরলতা লাল কাঁকড়ার জটাজুট। মুদ্রার খেল নিপাট তাল শাস্ত্রের বোল গুলিয়ে গেল। সমুদ্র, আকাশ, মাটির ত্রিটান দোহার, গায়েন…