888sport app download apk
-
রাঙা মাছরাঙা
রাতের পকেট হাতড়ে খুঁজে পাই ওকে। রাঙা মাছরাঙা, সবে একটি মাছ গিলে ডালে বসে চাঁদ পোহাচ্ছে। খিদে মিটে যাওয়ার আনন্দ তার চোখে পান্নার মতো চকচকে। নাগাড়ে তাকিয়ে আছি ওর দিকে, যদি খানিকটা পান্নার আলো আমার সঙ্গে ভাগ করে নেয়। কী জানি – আজ আমার একদম দুঃখ পেতে ইচ্ছে করছে না।
-
ভাঙা গ্লাসে নীল মেঘ
বাড়ির উত্তর কোণাটায় এক টুকরো রোদ ঢোকে প্রতিদিন, ঠিক দুপুরের সময় কিন্তু সেখানে কেউ বসে না। চেয়ারটা পড়ে থাকে খালি, ধুলো জমে, 888sport sign up bonusর মতো। অথচ সেই ধুলোর নিচে, একটা চিঠি পড়ে থাকে যা কেউ কোনোদিন পাঠায়নি, তবু উত্তর চায়। ঘরটা জানে – প্রতিটি দেয়ালের গায়ে কিছু উচ্চারিত না-হওয়া শব্দ থাকে, যার ভাষা কেবল চোখের পাতা…
-
শূন্যতা
ভালোবাসা চেতনার মতো অস্থির – তাকে ধরা যায় না; ছোঁয়া যায় অনুভবে প্রতিটি নিশ্বাসে দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষার ঘ্রাণ। চলে গিয়েছ বলেই হয়তো প্রথম অনুভূত হলো অনুপস্থিতি কীভাবে ঢেকে ফেলে পূর্ণতা – ভাঙন থেকে ভাঙন। হয়তোবা কেউ ভালোবাসিনি – পরস্পর শূন্য হয়েছিলাম মাঝখানে আকাক্সক্ষার আগুন। আয়নার দিকে তাকাই মুখের বদলে ভেসে ওঠে কিছু মুহূর্ত তাতে আমি’র অস্তিত্ব…
-
ছায়ামূর্তি
কে যেন কালো আলখেল্লা গায়ে পায়চারি করে গভীর কুয়াশায় একা চেনাচেনা মনে হয় … চেনা গন্ধ জড়িয়ে আছে হাওয়ায় … কেমন করে যেন কুয়াশা ঢুকে পড়ে বুকের ভেতর … সূক্ষ্ম সরীসৃপের মতো … বরফকুচির মতো ঠান্ডা … মৃত্যুর মতো হিম … সাপের জিহ্বার মতো লিকলিকে আগন্তুক … তক্ষকের চাতুর্যে … একেবারে মগজের ভেতর ঢুকে যায়…
-
কিছুই ঢেকে রাখা যাচ্ছে না
কিছুই ঢেকে রাখা যাচ্ছে না ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে আঁধারের গোপন বৃত্তান্ত, দরোজার ওপাশে থাকা সুন্দর রমণীটিও, মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গোলগাল চাঁদ, জোছনার ডুবসাঁতার, গোপন নাচ স্তনাগ্রের লাফালাফি, কিছুই আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না জলের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা বিধ্বংসী বোমা, মাছদের মৈথুন আগুন সময়ের ষড়যন্ত্র, সমুদ্রসঙ্গম, ব্লাউজের ভেতর ফুটে থাকা গোলাপের ঘ্রাণ, ধীরে ধীরে…
-
বেহুলা বাংলা : সনেট
আমি বন্দি সেন্টাওরের অতল পাতালে মুক্ত হতে চাই উদ্ধার হই যদি আরিয়েদনের মতো তোমার দেখা পাই আমার সাধন-ভজন সবই তাই বেহুলা তোমায় ঘিরে জানি কোনো শিউলীভোরে পাব তোমায় গাঙুর নদীর তীরে তাই জলের কিনারে বসত আমার ঘোর তুমি নদীপথে ভাসাও স্রোতে মান্দাসের ভেলা গ্রীষ্ম বর্ষা আর শীতে অকর্মা আমি বাঁধা থাকি শত গেরস্তকাজের ঘোরে এ…
-
কী যে চাওয়া কী যে পাওয়া
নিঃসঙ্গতা জ্বেলে জ্বেলে অন্ধকারে পথ চলে কবি নৈঃসঙ্গ্যই তার ধ্যান আরাধনা সাধনার সিদ্ধি ও সুন্দর! একাকিত্ব, নিঝুম রোদন 888sport live chatতৃষ্ণা একবুক হাহাকার অতৃপ্তি ও অপমান কাঁটাগুল্ম তার অমøজান ও ক্লোরোফিল, ভাঙতে ভাঙতে বেদনায় নীল বেদনা ও মৃত্যুঝুঁকি পান করে করে বেঁচে থাকে ভাঙাপোড়া কবি, এঁকে যায় এক লপ্তে অপ্রাপ্তি ও বিরহের মনোলীনা ছবি!
-
রক্ত মৃত্যু ভালোবাসা
জুলাই, তোমার কাছে বহু দেনা ঋণ শহিদের রক্তে পুষ্পে হয়েছো রঙিন। মøানতার স্পর্শ থেকে তোমাকে সরিয়ে হৃৎপিণ্ডের কোষে কোষে রেখেছি জড়িয়ে হঠিয়েছি অন্ধকার, পাশবতা কালো লাখো প্রাণ তোমাতেই আছে লীন, সর্বসত্তা দিয়ে বেসেছো কী ভালো!
-
গ্রাম খুঁজি
মাঝিয়াইল বলে কোনো এক গ্রামের নাম জেনে – গ্রাম খুঁজি দেশসুদ্ধ পাড়াগাঁয়ে কখনো সারিবদ্ধ কলাগাছের সন্ধানী দৃশ্যে শাদা বলদে হাল জুড়ে দেওয়ার আগপাছে দাড়িম্ব ফলের ক্রমপ্রসারমাণ সামাজিক ফলদবৃক্ষের স্ফূর্তিতে পকেটে লুকিয়ে রাখা ‘ভুলো না আমায়’ ফুলতোলা রুমালের ভাঁজে জসীমউদ্দীনের ‘রাখালিয়া’, ‘বালুচর’ কাব্যে – পাই খুঁজে নতুন ধানের ঘ্রাণে পল্লীর উঠোনে, গৃহে গৃহে উৎসবের বারোমাস।
-
পাখিজীবন
কাকটি দুপুরবেলা রোদে ভিজে-ভিজে উড়ছিল স্নানশেষে ডানা ঝেড়ে ফেলে যায় ছায়ার ফসিল দেখল না শস্যহীন মাঠের কৃষক সে কেবল আগাছাই ফেলে গেল রোদের ধাঁধায় এভাবেই দিনে-দিনে বড় হয় ছায়াবৃক্ষ নিজের ভেতরে মধ্যমাঠে টেকের পরিধি বাড়ে – জমির জ্যামিতি ডালপালা ঘেরা এই মায়াময় বৃত্তে বাসা বেঁধে নিয়ত যাপন করি পুরাণের পাখির জীবন উড়ে-উড়ে সারাদিন শুঁকি কড়া…
-
সহজ কথার গল্প
বলি বলি করে তারে আর বলা হয়নি ছোঁয়া হয়নি নক্ষত্রের আলো, উজালা বসন্ত রাত ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ পৃথিবীতে এত সহজ কথা দ্বিতীয়টি নেই অথচ কী আশ্চর্য কঠিন – বলতে গেলেই তুমুল তুফান, বুক ভাঙে, হাঁটু কাঁপে, কান দপদপ করে আশেপাশে যে বৃক্ষগুলো সবুজ ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তারাও শেকড় ছিঁড়ে ভেঙে পড়ে একে একে আশ্রয়হীন একটি…
-
কানাভোলা
অবোধ্য দেখছি সব দুর্বোধ্য কোলাহল কলকাঠি হাতে কার কার হাতে প্রদীপ আলাদিনের? আয়নায় বিভ্রান্তি বড় ভেসে ওঠে কার মুখ কার কণ্ঠে বলছি কথা জ্ঞানশূন্য হিতাহিত! অচেনা পথের বাঁক চিনছি না কাউকে আমি ভয়ংকর কানাভোলা কোথায় যে গন্তব্য তার!
