August 2022

  • তরুণ মজুমদার : অগ্নিজয়ী পুরুষ

    তরুণ মজুমদার : অগ্নিজয়ী পুরুষ

    প্রারম্ভবচন গত ৪ঠা জুলাই ২০২২ সোমবার বাংলা live chat 888sportের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং খ্যাতিমান পরিচালক তরুণ মজুমদার প্রয়াত হলেন। ৯২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুকে আমরা নিশ্চয়ই অকাল প্রয়াণ বলবো না। পরিপূর্ণ বয়সই বলবো বরং। বিস্ময়কর ব্যাপার, ২০১৮-তে যখন তাঁর বয়স ৮০, তখনো ছবি করেছেন তিনি। ফ্রান্সে যেমন জাঁ লুক গদার। ওই ২০১৮-তেই, গদার ছবি করেছেন  ঞযব ওসধমব…

  • গীতগোবিন্দ

    বাংলা কাব্য-রূপান্তর : অসীম  সাহা পঞ্চম পর্ব নবম সর্গ গীত রাগ : রামকিরী ॥ তাল : যতি অভিসারে হরি গেছে তোমার ঐ ঘরে। এরচেয়ে কিসে সুখ, বলো সখি ওরে ॥ মাধবে করো না মান, হে অভিমানিনী! তাল-ফল হতে এ যে অতি গুরুভার। স্তন দুটি খুব বেশি সরস তোমার ॥ যতো কথা বলি, তাও মানো তুমি…

  • আমার মাতৃচুম্বনের আদি স্বর

    মেঘেদের আড়ালে হাসছিলাম হাহা। ঠা-ঠা ডিগবাজি খাচ্ছিলাম সপ্ত-ঋষির পবনে-পর্বতে। মুহূর্তের তিমিরাক্ষী আলোকপোশাক রূপবদলরত অনবরত। ভীতসন্ত্রস্ত আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম স্বর্গমর্ত্য অমাদিগন্ত। আমার আগে-পেছনে আমাকে খুঁজে খুঁজে পাহারা দিচ্ছিল হাজার হাজার কোটি কোটি আমার আমি। যেহেতু আমার আগে-পেছনে আমার পেছনে-আগে ছুটছিলেন বড়শি হাতে আমার মানবজনক। জনক তো নয়, খলুই হাতে এক মৎস্যশিকারি। শিকারি তো নয়, সুদর্শন চক্র…

  • আশ্চর্যবিকেল

    কয়েকটি মুহূর্তমাত্র, যেন একপলক দৃষ্টির লেনদেন, তারপর থেমে গেছে সব কথা বুকের ভেতরে জমা যত আলোড়ন, কিছুই নেয়নি সাথে শুধু নিয়ে গেল এক দারুণ বিস্ময়! রংধনু উঠেছিল বৃষ্টিভেজা আকাশে রৌদ্রের আলো মøান। এই দৃশ্য সত্য শুধু দুজনের কাছে; কোথাও সাক্ষ্য নেই কেউ পেছনে জানালা খোলা সেই জানালায় আকাশের রংধনু আজও তো তেমনই দৃশ্যমান! একটি শালিক…

  • স্বপ্নের ভেনিস

    জলে জলে জলময়, সূর্যালোকে শুয়ে থাকে ভেনিস নগরী জলকন্যা অপ্সরী কি? উঠেছিল কোনোদিন সাগর মন্থনে এমন সুন্দরী 888sport promo code? দিকে দিকে ফুলরেণু স্বর্ণময়ী তরী ভেসে যায় অনায়াস, সারিবদ্ধ মানুষের অপরূপ ধনে কিভাবে এ-অধিকার, যেন তারা কোনোদিন আগুনের আঁচে করেনি শরীর স্নিগ্ধ, যেন খুব শীতলতা ও জলসিঞ্চনে বাগানে গোলাপচারা যা যেন হবে না দগ্ধ, পুরোনো গ্যারেজে মোটরবোটের…

  • বেহুলা বাংলা – সনেট ১

    বাল্যে গড়ে মাটির পুতুল খেলেছি তোমার শরীর নিয়ে দুরন্ত কৈশোরে মুছেছি ঘাম ওই শুভ্র আঁচল দিয়ে যৌবনে কাঁধে রাইফেল ঘুরেছি নদীর পারে পথে-প্রান্তরে ছুড়েছি গ্রেনেড তোমার জন্যে বিজাতীয়  শত্রুর বাঙ্কারে প্রৌঢ়ে স্বজন নিয়ে গড়েছি পুতুলের একান্ত সংসার বার্ধক্যে তুমি হয়েছ বেহুলা আরো আপন আমার তোমাকে ছাড়া আর তো কোনো নিশিস্বপ্ন দেখিনি তোমাতেই পেয়েছি খুঁজে আমার…

  • নদী যখন নদীকে চুমো খায়

    একটা নদী আর একটা নদীর কাছে জল চাইতেই পারে, নদীর সাথে নদীর মৈত্রী আছে বলেই সে খরস্রোতা            বহমান              উত্তাল-ঊর্মিমুখর                    ও হিন্দোলিত। একটি নদীর উৎসধারা কোনখানে থাকে নদী তা ভালো করেই জানে!              নদীতে নদীতে স্বাভাবিক সখ্য! নদীর হিংসে নেই-আকচাআকচি করে না ঈর্ষাপরায়ণ তো নয়!                হিংসালু হবে কীভাবে? জলের ভেতরÑহিংসার আগুন জ¦লতে…

  • ওহে মঙ্গলময়

    ওহে মঙ্গলময় – মঙ্গল করো অমঙ্গল নাশি, বিশ্ব জগৎময়। আছে যত দুঃখ জরা, ক্লেশ কলুষিত আশ। করুণাসাগরে ভাসায়ে সবারে, পাপ-তাপ করো নাশ। আঁধার মোচন করো গো প্রভু, দেখাও আলোর দিশা। সৎপথে চলার সৎকথা বলার, জাগাও মনে তৃষা। নাহি হিংসা ক্রোধ শুধু মমত্ববোধ, বিরাজে সবার মনে। হানাহানি আর বিদ্বেষ প্রভু, দূর করো জনে জনে। জীবে প্রেম…

  • যোগ-বিয়োগের খতিয়ান

    ক. বাঁধাধরা ইচ্ছেগুলো জটিল রাতের ঠিকানাতে, ডুব মেরে নম্রতা ভাঙে ;  ঘুরতে থাকে ইঙ্গিতবহভাবে। বিশেষ                                                 ধরনের সীমিত প্রকাশবাদ ভিজে যায় নতুন দর্শনে – প্রচলিত                                                  সূত্র সব ক্রমান্বয়ে ভুলে যাচ্ছে রোজ। দোলাচলের খোরাকে                                          খতিয়ান – জোড়া দিচ্ছে আশানিরাশার। – রসবাদ অসুখী বুঝি। দ্যোতকতা ছাড়া মন্ময় – তন্ময় খুঁজে পায় না রীতির                                                   কোনো…

  • জলচৌকি

    ঢেউয়েরা কানে কানে কী যেন বলছে বটগাছ উড়ে গিয়ে মাঝনদীতে শেকড় গেড়ে বসলো, বটফল যেন প্রজাপতি …     জলচৌকি পায়ে হেঁটে এসে গাছের নিচে থামলো একতারা হাতে ভেসে ওঠে, সাঁইজি জলচৌকির ’পর বসলেন, ধরলেন গান …  মঞ্চ থেকে তেড়ে-আসা উচ্ছ্বাসের ঝাঁজে গানের সুর পুড়ে মরলো  তিনি ইশারায় ডাকলেন, রাজঘাটে ভিড়লো সোনার ভেলা ভেলায় উঠতে গিয়ে পা…

  • সিজদামিতি

    এটি একটি প্রস্থান। ফেরার সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে খুব কাছ থেকে ধূলিময় বাতাসে রাত আরতির অনুপম হাতে কেউ দাঁড়াবে না আর উঠোনের বাগানে ভেজা ওঁশের পাতা ঝরার গন্ধে বৃষ্টির লিরিক মিশে গিয়ে উড়ে যাবে দূরের দিগন্তে; বিমূর্ত আকাশের রং আলো… টুপটুপ করে ঝরে পড়বে অদূর গাছের ঘন ছায়ায় কেউ দেখবে না – মাটির পৃথিবী ভেঙে…

  • অবনত চোখ জানে

    অহ নওরোজ কী তোমাকে খুশি করে – মাথার নিকটে অথবা বিভাব রাখে – অথবা কখনো পেয়ারা গাছের পাশে নরম বিকেলে পড়ে থাকা মৃদু আওয়াজের ভেতর তোমাকে আমাকে বারবার নিয়ে যায় – অথবা কীভাবে চির হরিয়াল রঙে অগণন রোদে তরুণ পাতার ভেতর তোমাকে পাওয়া যায় নিবিড় মেজাজে – সেসবের ইতিহাস বহু দিন আগে হাওয়ার পিঠে চড়ে…