February 2019
-
পাতাঝরার অর্কেস্ট্রা
সৌম্য সালেক নৈঃশব্দ্যের চেয়ে কিছু বেশি খসে পড়ে হিম অনুপাতে ইথারের সুমধুর তানে ছড়ায় মাধুরী – ঘাসে ঘাসে, জল ও মাটির কিনারে মনোহর … এসব পাখি শুনেছে আগে মধুমাসে ভ্রমর শুনেছে তারপর মেঘেরা বয়ে নিয়ে গেছে হিমাদ্রি-বাতাসে উত্তর সাগরপারে তাই এতো রাগের হিলেস্নাল এসো উপবনে বিজন মধুস্বর – পাশে ঘুমায় ফুলেরা এমন…
-
জৈবচারী
সাহিনা মিতা যতটা সময় নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক পাপড়িগুলো নিস্তেজ ও বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে আপন শিকড়ে ততটা সময় ধরে প্রসাধনের আড়ালে চলে যাও চিনতে পারো কি না বুঝি না! বুঝি আমাকে বাড়িয়ে তুলতেই বাড়িয়েছো পা! যখন ফিরে আসো তখনো অন্ধকার, শিশির ঝরাতে এতোটা কঠিনও কি হতে হয়? স্পর্শকাতর একফোঁটা জল বইকি! এতটা দলে গেলে ভেঙে…
-
বিষণ্ণ মুহূর্তের গল্প
চাণক্য বাড়ৈ কারা আসছে নিষিদ্ধ ভায়োলিন বাজিয়ে – তাদের কাছে গিয়ে বলি, উজ্জ্বল হও, বের হয়ে এসো এই ঘোরগ্রস্ততা থেকে – এতদিন তীরবিদ্ধ ছিলে, এখন পান করো এই সুর – কথার নির্যাস – কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে তোমরা শুনতে চাও মৃত মানুষের গান – অথচ, মাথার ওপর যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দিয়ে সারাক্ষণ বিরক্ত করো…
-
নীলপরি
সজীব সাহা পরিটার নীল জামা তার নাকি তিন মামা। সারাদিন খায় না ইশকুলে যায় না। শুধু খায় বিস্কুট আর খায় কোক বাইরের খাবারেতে শুধু তার ঝোঁক পরি খুব বোকা না দেখতেও রোগা না। তারপরও দাদি বলে বেশি করে খা, মা বলে, বাবা বলে ইশকুলে যা। কিন্তু সে-পরিটার মনটা তা বোঝে…
-
ফাগুনসরণি
অথির চক্রবর্তী একেকটি ঝরাপাতা ফুলগাছের ডায়েরির পৃষ্ঠা। ইষ্টিকুটুম পাখি জানে ফুলের বনে আগুন লাগলে কত দ্রম্নত ছড়িয়ে যায়, ফুলবন অনেক বেশি স্পর্শকাতর। ফুলের ছাই চিনেছি আমি, দুঃখঅন্ধ? কানাগলির কানু? ছাই থেকে আবার আস্ত একটি গোলাপ ভাবতে না পারলে কেউ কখনো কাউকে ভালোবাসে না। ইষ্টিকুটুম পাখির রক্তের সিম্ফনি বুকে আমি মুখস্থযাপন থেকে চাইছি ছুটি…
-
ব্রহ্মপুত্রের কালীবাড়িতে
সেলিম মাহমুদ চাঁদ গলে গলে মোমচাঁচ হয়ে গেছে। দাসপাড়ার শুঁটকিপল্লি ছেড়ে চাঁদ গমন করেছে ব্রহ্মপুত্রের কালীবাড়িতে; যাই, দেখি, ধুয়ে নিই মুখ, দেখি জেলেদের জোছনাপালন। লোকনাথ আশ্রমের ঠিক নিচে পিঠাওয়ালি এক দিয়েছে বাতাস সুঘ্রাণের আস্বাদন এনে দিতে। ব্রহ্মপুত্রের পানিতে ধীবরকুলের কেহ জাল হাতে ধরি মাছ ছুঁই পানি মন নিয়ে, মাছ নিয়ে ফিরে আসে চন্দ্রমুখী তারাপুঞ্জে…
-
নদীপাঠ
শামীম হোসেন আমাদের আড্ডা হয় প্রতিদিন। অমলিন … ছোট ছোট ঢেউ পৌরাণিক ডানা মেলে – শিখিয়ে দেয় কীভাবে হাতের আঙুল ধরে পাড়ি দিতে হয় জলের পথ। কেননা আমরা – নদীর নিকটে বসি। জল থাকে আরো নিকটে … যে-বৃক্ষ জলের আলিঙ্গনে ভিজে যায় রোজ আমরা তার নিচে বসি। খোশগল্প করি। গল্পের ভেতর থেকে…
-
ঝুমকা
তুহিন তৌহিদ আলোকোজ্জবল ঝাড়বাতি হয়ে ঝুলে আছে সোনালি ঝুমকা ব্রহ্মা–র তাবৎ সুন্দর নিয়ে। চুলের গোছার ছায়া ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে, যেন বাঁশের পাতার ফাঁকে চাঁদ। বিচ্ছুরিত আলো হৃদয় অবধি যায় ছুঁয়ে এমন শ্যামলমুখ, কী দারুণ কারুকার্যময়! তার মধ্যে ফুটন্ত গোলাপ, বিকেলের রোদছটা, ঘোর কাটছে না …
-
নবাবিপনা
বিশ্বজিৎ মণ্ডল এক যাও, আজ থেকে আমি অবাধ্য সিরাজ – অসংযত পর্যটনে নেমে আমি আসন্তাবলে থইথই শহরজুড়ে উড়ছে, কামানদাগার আর্তনাদ ভুলে গেছি – নপুংসক, অন্ধ তীরন্দাজের দল অস্ফুটে সাজিয়ে রেখেছি, রুগ্ণ খাতা, অতিথি ওয়ারড্রব মীরমদন বাস টার্মিনালে জ্বলে ওঠে, তপ্ত দুপুর … সিরাজপনা ছেড়ে সরে দাঁড়াই বিপ্রতীপে চন্দ্রাহত হয়ে খুঁজতে থাকি, বাইজিমহল…
-
জঙ্গলের গান
তুষার কবির বিকেলের ঘুঘুডাক শুনে শুনে পৌঁছে যাই সেই সুরের তাঁবুতে। একটু আগেই দেখে এসেছি আমি ঝাপটানো ময়ূরীর ডানা – শুনে এসেছি ঘোড়ার খুরের ধ্বনি আর বনডাহুকির ডাক। কয়েকটি ডুমুরের দানা হাতের মুঠোয় নিয়ে আমি ঢুকে পড়ি সুনসান নিঝুম তাঁবুতে! একটু আগেই দেখে এসেছি আমি পোখরাজ সাপের বাঁকানো লেজ – শুনে এসেছি দোয়েলের সেরেনাদ আর…
-
দুপুরে দেবারতি
পিয়াস মজিদ সকালটা শুভ্র শঙ্খ ঘোষ, দুপুরটা রোদে পুড়ে তামা হওয়া কলকাতা। ঝিম মেরে বসে থাকা প্রয়াত কালিদাস রায়ের 888sport sign up bonusমেখলা যাবতীয় 888sport sign up bonusর প্রতিবেশী কবি দেবারতি; মুখোমুখি গৌতম ম-ল আর আমি। দেবারতি বসে আছেন হাতের আমন্ত্র¿ণপত্রে ঘুমন্ত মণীন্দ্র, অক্ষয় মালবেরি থেকে আসন্ন সব 888sport app download for androidসভার রক্তমাংস ঝরে পড়ছে ঝরে ঝরে নহর বয়ে চলে মুজবৎ পাহাড়ের শোক-হাওয়াতে…
-
পূর্ণিমার চাঁদ
সব্যসাচী দেব তখন গাছের ফাঁকে উঁকি মারে পূর্ণিমার ভরা গোল চাঁদ তখন হাওয়ায় থাকে দূর থেকে ভেসে আসা রহস্যের স্বাদ এখানে নদীর শব্দ আসে না তবুও তার অনাহত সুর তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে বাজে, স্পর্শ করি অশ্রম্নতকে, যদিও সুদূর তবে কি দূরের ধ্বনি কাছে এসে ক্রমাগত গান হয়ে ওঠে যেমন ধ্যানের মধ্যে অশরীরী আলতো…
