February 2020
-
নিস্তব্ধতা
‘আমারে কবর দিও হাঁটুভাঙার বাঁকে’ শান্ত নদী বহে যায় ধূসর পাহাড়ের দেশে ছিপে টোনা মাছ গেঁথে অপেক্ষায় নিস্তরঙ্গ জীবন একটা গুলির শব্দে সবকিছু বদলে গেল শত শত সৈনিক প্যারেড করে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিলো উত্তরের এই মহাদেশে ভয়ানক যুদ্ধ হলো সবাইকে ছুড়ে ছুড়ে ফেলা হলো হাঁটুভাঙার বাঁকে সভ্যতার মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে…
-
সংসার
আমরা যখন পাখিপাখি খেলব, তুমি না হয় ভয়ানক ভুল করেই ফেলবে তাই কি তোমাকে ছেড়ে যাব? বাতাসকে কি ছেড়েছে কেউ, এতো ঘূর্ণি, ঝড়ের পরও সেটা কি ঠিক হবে নদীকে জলহীন করা, নদী তো শুধু নদী না, কত জলস্থলচর প্রাণীর মা আমরা যখন এখানে এসেছি, থাকছি, তাহলে কেন দূরে থাকব শুধু শুধু কেন আমরা নিজেদেরকে সঙ্গশূন্য…
-
পুঁজি
বুঝতে দেরি হয় তাই বুঝি এই মনস্তাপটুকু পুঁজি এটুকুই বেঁচে থেকে পাওয়া বাকিটুকু গল্পের মতো … একদিন আচমকা হাওয়া
-
প্রেম
মুঠোফোন বাজছে ঘরের কোথায় যে রেখেছি কিছুতেই ঠাওর করে উঠতে পারছি না অথচ বাজনাটা এসে ধাক্কা দিয়েই চলেছে যেমন তুমি
-
এই প্রবল শীতে
এই প্রবল শীতে শীত নিবারণের কাপড় থাকলেই মুখে ভাষা ফিরে আসে। কষ্টকর সময়ের কাছে সব ভাষাই পাথর। ফ্লাইওভারের নিচে একঝাঁক উদ্বাস্তু কিশোর খড়কুটো জ্বেলে ভাষায় ছবি এঁকেছে। একটু আতিপতি করে খুঁজে দেখলেই এই প্রবল শীতে অনেকের মুখে ভাষা নেই শীত, ক্ষুধা।
-
জ্বালো আগুনের ফুলকি
এমন তো না যে – গালে হাত দিয়ে ভাববো এবং তোমার ওষ্ঠে লিখবো কাব্য আর চুপ নয়, দেশলাই ঠোকো সলতেয় আমি কোনদিকে – সোচ্চারে হবে বলতে ফুল দিয়ে বড়ো সহজ বলানো মিথ্যা মায়ারং তার ভনিতায় অভিষিক্তা ফুলটুল নয়, জ্বালো আগুনের ফুলকি আগুনের নেই প্রসাধনী রং ছায়ার ঘোমটা আড়াল, বরং পুড়ে খাক হয়ে জানাবে ঠিক কি…
-
জলকুমারীর মুখ
সে এক অলৌকিক স্বপ্ন ও প্রার্থনা। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সুদূরে তাকিয়ে থাকার মতো স্বপ্নের ভেতর দিয়ে আসে, আমার প্রার্থনার ভেতর দিয়ে আসে আর আমি অপেক্ষায় থাকি, অপেক্ষায় থাকি …। সে এক অলৌকিক মানবী, বৃক্ষের সবুজ পাতায় পাতায় মন পবনের হাওয়ায় দুলে, চাঁদ জোনাকির সাথে রজনীর ক্যানভাসে উড়ে, শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের জমিনে কোমল বালিকার মতো চোখ…
-
আমিই তোকে ছুঁতে পারি
আমিও তোকে ছুঁতে পারি, যেমন করে তুমুল নদী, ফুঁসছে তবু নিরবধি, রাত ঘনালে কূলের ওপর আলতো করেই ঝাঁপিয়ে পড়ে! আমিও তোকে ছুঁতে পারি; যেমন করে নদীর ঢেউয়ে হেই সামালো দামাল নেয়ে বাঁচবে বলেই স্রোতের ভেতর শেষ প্রহরের বৈঠা নাড়ে! আমিই তোকে ছুঁতে পারি, যেমন করে কচুর পাতায় বেবাক জলের টুপটুপানি, তোর সে রাঙা পদ্মখানি ভিজিয়ে…
-
সারগাম
বৃষ্টির সুরেলা শব্দে আমার উঠোনে ঝরে পড়ে সান্ধ্য স্বরলিপি! যশরাজ সুরে সুরে বৃষ্টি পড়ে হিম জানালায়! ছড়ানো সুরের ঘোরে দূর কেয়াবনে বেজে ওঠে নিঝুম সানাই। তোমার শাড়ির ভাঁজে বৃষ্টি ঝরে জলের মাদল হয়ে। বিজলির বিভোর প্রভায় তোমার মুখের রেখা ফুটে ওঠে সান্দ্র তারানায়! শব্দের শরীর জুড়ে বৃষ্টি ঝরে – এ-সন্ধ্যায়। ঝরে ভেজা অক্ষরের মাঝে, ধোঁয়াওঠা…
-
ফুলগন্ধ অন্ধকার
কল্পনার আল্পনায় সাজিয়েছি তোমাকে যে আমি তোমার আদরের অন্তর্জন্তু। প্রতিশ্রুত সমুদ্র দেখাতে দ্বিধা যাকে, নভো-কুৎসিতে সে তো ছিল তোমার মাটিমধুর অববাহিকা। কতটা উদার-উদাস হলে তুমি পাবে তার আত্মার আওয়াজ, জানা নেই সম্প্রচারসভ্যতার! মরচে ধরা নীলিমায় নিঃশব্দ তারার দামামা পরিদের পা বেয়ে পৃথিবীতে নামে নক্ষত্রনিদ্রার সুররস; মধুর তামস। অভাবের দেশে আলোর বাতাসায় ঝনঝন করে ওঠে আমাদের…
-
মাকে 888sport app download apk পড়ে শুনিয়েছি
বারো বছর পরে বাড়িতে এসেছি মায়ের বিছানাতে শুয়েছি, মনে পড়ে এরকম সময়ে ঘর-গেরস্থালির কাজের ফাঁকে মা গল্প বলতেন, বই পড়ে শোনাতেন, কখনো বা আপনমনে গুনগুনিয়ে গান করতেন মধ্যরাতে মাকে নিয়ে লেখা 888sport app download apk পড়লাম জোরে জোরে, যদি মা শোনেন ৮ মার্চ, শহীদ মিনারের পাদদেশে 888sport app download apk পড়লাম কতজন শুনলেন, হাততালি দিলেন, তাতে কী? মা তো শোনেননি আমার…
