February 2023

  • পাঠিকার প্রতি

    গূঢ় মধ্যরাতে তুমি নিবিড় পাঠিকা তোমার এ-পাঠমগ্ন চোখের আলোয় আমি আজ শিহরিত কুমার শরীর আমি তৃণবই, বিচলিত, কাদা-জল, গহন জঙ্গল থেকে উড়ে-আসা খড় ঠোঁটে, দাঁতে আর শ^াসাঘাতে রোমাঞ্চিত গাছ-পাতা, পালক-শরীর ভালো ছিল যখন ছিলাম সেই পবিত্র কিতাব ধর্মস্ত্রোত্র, কূট-পাঠকের : পথেঘাটে কত কত কোলাহল, তবু স্পর্শহীন, অপঠিত, কুমার-ছতর

  • মাথার ওপর দিয়ে

    তোমার মাথার ওপর দিয়ে একটি 888sport app download apk উড়ে গেল তার মহিমান্বিত চিত্রকল্পগুলো এমনকি তারকারাও ছুঁতে পেল না অথচ তারা নক্ষত্র-শোভিত বিপুলা সুন্দর তাদের বুনন কৌশলে বেনারসি কিংবা একদার প্রসিদ্ধ মসলিনের কথা ভাবা যায় তাদের মেটাফরগুলো আগুন জ¦ালাতে পারে কামান ছুড়তে পারে, প্রয়োজনে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে পারে কল্পনাপ্রকার এবং উপমার পর উপমা – মেঘমালার অভূত                                         …

  • সমালোচক

    ‘শূন্য’ এক ফুলের নাম অথবা ‘মন’ এক ভুলের নাম এই দুটি স্ত্রীর স্বামী যিনি তিনি ভেজা বেড়াল, তিনি কবি চাল নুন আর বাজারের থলে হাতে এঘর ওঘর করে না-করে ফুল ও ভুলের নিচে চাপা পড়ে মারা গেলেন তবুও তার বিপুল অমরত্বের অনুপ্রাস ঘিরে ব্যর্থতার সংসার, সফল সমাজ বাড়-বাড়ন্ত দুয়োরানি সুয়োরানির শ্রুতি ও মিথ আর আঙিনার…

  • ডুব

    বৃষ্টি এলে বাজতে থাকে গানের খাতা ঠান্ডা হাওয়া ঝাপটা মারে একটু জোরে – ভেজা শাড়ি রাধার বুকে কদম পাতা আমায় তুমি জড়িয়ে ধরো আস্তে করে! সুরও বাজে প্রাণের মাঝে হালকা ব্যথা বৃষ্টি-ফোঁটা ছড়িয়ে পড়ে শার্সি ভরে – নদীর বুকে উঠলে ঢেউ কান্না গাথা আমায় তুমি ডুবিয়ে দিও আস্তে করে! হিজল জলে শ্রাবণ দিনে মৃদু কথা…

  • তুমি কি সুইয়ের বুকে অবিরাম সুতো

    বারান্দায় গেলে না। ছাদেও না। উঠোনও তো ফেলে এসেছি বহুদূরে। আরো দূরে মাঠ, ঘাট, গঞ্জ, হাট। তারও দূরে ফেলে এসেছি অধিকার। তুমি যেন কার? তুমি কি তোমার হয়ে দাঁড়াতে পারো বারান্দায়। হাত রাখো রোদে। শুকাতে দাও নিরামিষ মন বরফের ঠোঁট থেকে দানা খুঁটে খায় অবাধ্য চড়ুই তুমি কি সুইয়ের বুকে অবিরাম সুতো … মসৃণ ধাকায়…

  • সিসি ক্যামেরা

    একটি পাখিকে পাহারা দিয়েছি বিনা শর্তে! শকুনের মুখ থেকে বাঁচিয়েছি অনেকবার সাঁতার দিতে গিয়ে ডুবেই গিয়েছিল – কেউ এগিয়ে আসেনি; পাড়ে তুলেছি ভুলেই গিয়েছিলাম আমিও সাঁতার জানি না। ধার করা রোদে পালক ফিরিয়ে দিয়েছি কুকুরের মুখ থেকে রক্ষা করতে জলাতঙ্কে; আমাকে গ্রামছাড়া করেছে শাসকপ্রতি! পাখি তোমাকে দেখতে দেখতে দেখা হলো না ভোরের আকাশ, তারার ফুল…

  • অনেক পুরোনো দিন

    পুরোনো দিনের কোনো কুহকি জগতে আছ আবার বিভ্রমে নেইও তুমি যেথা – সেই পুরোনো দিনের সৌরতাপে, পৃথিবীর মেঘগুলো কতটা কেমন গলে যায়, আর ভাঙা বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেলে বৃষ্টির ঝমঝমিয়া বড় বড় ফোঁটা কখন কোথায় পড়বে? 888sport sign up bonusর শিখায় কতবার দপদপ ঘুরবে জাফর স্যারের ছোট মেয়ে – স্কুলের পেছনে মøান পানাপুকুরে যে জলখেলার আগেই ডুবে…

  • বিশালাক্ষী – সাতশত উনিশ

    কাঠে রাখা হলো এ-দেহের ভার কাটে পোকা সৌন্দর্যের সমাহার। এ-শরীর রাখে না বিগত চিহ্ন কোনো বৃথা লবেজান হয় পেতে সকাল সঘন। রূপ মরে ঘুরে তান, থাকে বেলা তামসিক চিদাকাশ শতরূপা, প্রব্রজ্যা গৈরিক।

  • আসা-যাওয়ার চিত্রনাট্যে

    বহু বাঁকাচোরা গন্তব্য নিয়ে মরে যাচ্ছে ০১টা জোড় 888sport free betর বছর! হই হই ওই জিতে গেছে আর্জেন্টিনা ছত্রিশা অপেক্ষার পর, বিজয়ী পতাকার তলে পেলের কবর। যা ছিল চলার তারও চেয়ে নিয়মনিষ্ঠায় চলিতেছে সার্কাস। পলকা পৃথিবী ভারী হচ্ছে এত এত শিয়ালের শ^াস! প্রেমেরা সাবেক আর আসন্ন জারি থাকুক ব্রেকাপের বিউটিসহ সঙ্গমের ক্লাস। সুগার বাড়ুক চেখে দেখা চলুক…

  • ছায়াযান

    আকস্মিক প্রশ্ন করি : তুমি কি কখনো ক্লান্ত হও? কুয়াশার তন্তুজালে মিশে আছে মুখ – হিম ঘেরা হিমাঙ্কের অনেক গভীর থেকে মেলে না উত্তর যখন দেখেছি তাকে – চোখের কোনায় দাগ ছিল নতমুখে ছিলাম দাঁড়িয়ে – সেদিন বলিনি কিছু কী খবর? ভালো? স্মিত হেসে চলে গেল ছায়াপিণ্ড জন্মান্ধের মতো থাকি – হƒদয় উজাড় করে দিয়ে…

  • বিহঙ্গ বয়ান

    দু-একটা দিন হোক না রঙিন, মন বাসরী ধরুক পূর্ণিমা চাঁদ রুপার পরাগ আদর হয়ে ঝরুক, ভোর বিহানে ছাঁদ কাননে ঘড়ছাড়া তুই যুবা, তোর চরণে জবার পরাগ ছড়িয়ে দিলো কেবা? কে বা রে তোর স্বপ্নে আসে স্বর্ণচাঁপা হয়ে, ঘুম গেলেও ঘোর কাটে না ফেলে যাওয়া ঘ্রাণে, কে বা এমন মেঘের মতন ছড়িয়ে দেওয়া কেশে , পেছন…

  • আমি চাই না তোমাকে স্পর্শ ক’রে একাকিত্ব

    কখনো-সখনো মানুষ নিজেই নিজের সঙ্গে কথা বলে চরম একাকিত্বে ঘোরপ্যাঁচ খেতে খেতে মনেতে রংঢং ভাব উদ্ভব হয় না আমি ভুলেও চাই না এমন অপ্রিয় পরিস্থিতির মুখোমুখি তুমি হও আর চাকচিক্য সুরম্য প্রাসাদে অধিক সুখে আটক তুমি আঁকো ঘরময় নিরন্তর একাকিত্বের পোর্ট্রেট