January 2023

  • মাছ ধরেছি

    অথই জলে মাছ ধরেছি চিকন জালে আউল বাউল মাছ ধরেছি এই দ্যাখো না – মলা, ঢেলা, কানকাটা কই রূপচাঁদা আর রঙিন রোহিত দেখতে কি পাও আঁশের ঝিলিক? দিল-দরিয়ায়, রূপ-দরিয়ায় আমি কিছু মাছ ধরেছি জন্মকানা ও নিকারি, কিনবে নাকি?

  • প্রবল নৈঃশব্দ্যের মধ্যে

    প্রবল নৈঃশব্দ্যের মধ্যে  খুঁটে খুঁটে কিছু পোকা দেখা যায়।  দেখা যায় মত্ত হাওয়ার ভেতর  গুঁড়ো গুঁড়ো ধূলিকণা উড়ছে।  ঝরা পাতার সামান্য শব্দ  বিস্ফোরণ হয়ে ওঠে।  দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার নিমেষগুলো কাছাকাছি আসে।  ওই তো শব্দ – কানের ভেতর আগে শুনি নাই ভালোই তো উচ্চারণ  কে কথা বলছে!  যারা বাকহীন তারা  যারা ভাষাহীন বোবা  শুনতে পাচ্ছি –…

  • নোটেশন

    তোমার নোটেশনগুলো বড় বিপজ্জনক শব্দে-সুরে, রঙে-রসে তার যত স্তুতিই হোক সে কেবল এক সুন্দরের প্রপঞ্চ – ধ্বংসযজ্ঞে আত্মাহুতির প্রণোদনা; তোমার ভ্রুকুটির বিদ্যুচ্চমকে যতবার আমার জগৎ আনন্দে উদ্ভাসিত ততবার আমার মাথায় বাজ পড়ে। বস্তুত তারা বড় প্রোভোকেটিং তোমার ওষ্ঠ, স্তন, ঊরুসন্ধির অতল স্পর্শ আমায় স্বর্গে নেবে এমন নোটেশনে প্রলুব্ধ আমি বারবার খুনোখুনিতে জড়াই – তার পাপে…

  • বাড়ি

    সঞ্চয় যা কিছু ছিল সব দিয়ে বানালাম বাড়ি একটা! ফুটপাতে শুয়ে থাকা গৃহহীনেরা প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে একটা বাড়ির রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলোর দিকে বিমুগ্ধ তাকিয়ে থাকে ছিন্নমূল শিশুরা। বাড়ি আসলে পছন্দ করে পাখিরাও  এমনকী অপরাহ্ণের রোদ! বাড়ি কি আর সবাই বানাতে পারে! সবাই কি থাকতে পারে নির্মিত বাড়িতে সবার? এই যে আমার বাড়ি ঢুকতে…

  • বিদায় বলি হে সুবর্ণ সময়

    যতই গুছিয়ে আনি গুছানো তো হয় না কিছুই! কার ইঙ্গিতে সব এলোমেলো হয় দ্রুতলয়ে? ছড়ানো-ছিটানো সব আসবাবে ধুলো জমে একাকার হয় সবাই তাকিয়ে দেখে, হাসে আনন্দে বিভোর হয় দেখি এ কেমন পড়ন্ত বিকেল আমার? এক ফোঁটা রং নেই, ধূসর পশ্চিম আকাশ আকাশের মেঘখণ্ড ম্রিয়মাণ থেকে থেকে উড়ে চলে দূর থেকে দূরে …। আগত সন্ধ্যা নিয়ে…

  • একলা পথে

    চলেই তো গেছে এমন অনেক দিন দীর্ঘ কোনো চন্দ্রিমা রাতের অপেক্ষায় আকুলি-বিকুলি নৈসর্গিক আঙিনায় বিভোর ঘুমকাতুরে আমি দেখা হয়নি সে কোমল সৌন্দর্যের আলো। চলেই তো গেছে এমন অনেক দিন অযুত নিযুত মাইল দূরে দূরে মেঘের ভেতরে মেঘ ভেসে ভেসে চেয়ে থাকি সূর্যাস্তের দিকে পশ্চিমাকাশে পাখির পালকে শরতের কাশবনে হাওয়ায় দুলে কি না শাড়ির আঁচল। চলেই…

  • জীবনপরিধি

    সামাজিক হৃদপিণ্ডের আয়োজনে বাড়িয়ে দেয় অভাব। অথচ আমরা প্রাণান্ত সমীকরণ খুঁজে চলি বারবার স্বপ্নভুক পাখির ডানায়। ভেঙে ফেলি 888sport free betর গুণনীয়ক। স্বপ্নের আয়োজন এসে ভর করে আঁধারের পরিমাপ দেখে। আর এভাবেই সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে গুণিতকগুলো একমুঠো ভাতের অপেক্ষায় আজন্ম সময়ের সমান্তরালে হেঁটে। মঞ্চের দৃশ্যকল্প থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ আগুনের জিহ্বায় পা-রেখে ভবিষ্যতের সিঁড়ি ভেঙে চলে…

  • অলিখিত নির্দেশ

    দিন এনে দিন খায় যারা – উঁচুদের উঁচুনিচু দেখার পরেও তারা  থাকবে বোবা, বধির-জন্মান্ধ।  সোনামুখী বীচির সমান উষ্মা প্রকাশও সম্পূর্ণ বারণ।   চোখে-মুখে জ্বালা ধরা কিংবা দৈনন্দিন চাপে মেরুদণ্ড ‘দ’ রূপ হলেও নাসিকা কুঁচকানো, চোখ ঠার, ভেংচি কাটা, আড়ুল তোলা বা মুখ ফুটে কথা বলা  সেই ঘোড়া রোগ, আধা মণ অপরাধ।  বরং যা চাপিয়ে দেবে তা নেবে…

  • নীল-বিদ্রোহ

    নীল হয়ে যাওয়া মুখগুলো এখনো বিষদাঁত নিয়ে বসে আছে হাঁ করে এখানে-ওখানে, কাছে-দূরে, সর্বত্র ওদের সাপের মতো লকলকে জিহ্বা, বাজের মতো তীক্ষè দৃষ্টি, ভ্যাম্পায়ারের মতো উদগ্র বাসনা ওরা সুযোগ পেলেই বসাবে কামড় বাড়িয়ে চলবে নীলমুখের 888sport free bet তারপর সাদা আলোর পৃথিবীকে নীল আলোর পৃথিবী বানিয়ে নাম দেবে তার নীলগ্রহ ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া মুখগুলো এখনো সময়…

  • বোধ

    কৌশলী বাঁচতে শিখেছি আজকাল গুমঘরে গচ্ছিত রেখে পরমায়ু প্রাণায়ামে নেমে আসি পৃথিবীতে কান্না খাই অনায়াসে হাসির কিংখাবে জড়াই দুঃখ অপমান অবমাননা মোছাই অজুহাতে জানি প্রতারণা এক শূন্যতা আনে তবু জাগি, নতুন মায়াশরীর ঘেরে করুণা ও ক্ষমা মৃতপ্রায় আমি খুঁজি জন্মকোলাহল এভাবেই বাঁচা শিখি আর যে শিখিয়েছে এইসব সে-ই শিখিয়েছে, ‘না’কে না বলতে।

  • যত ভয় যুদ্ধে

    গুমোট বাতাস হাতের তালুতে পুরে – তোমার নাম লিখি শুধু একদিন পালাব বলে – গভীর মনোযোগ তোমার প্রতি আশ্চর্য সব ছবি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলে তুমি কিছু শব্দের বিনিময়পর্ব – ছড়িয়ে দিলাম তোমার দিকে শীতলতা আমাদের মৃত্যুকে 888sport app download for android করিয়ে দেয় – দগ্ধমন। আমিও খুঁজে ফিরি নির্জনতা – এক অন্ধ হোমার আমার পরিচিত জীবনের পথ ধরে…

  • স্বপ্নঝরার দৃশ্য

    নদীর শিয়রে বৃষ্টি খেলে যায় আনমনে পাতায় পাতায় লিখে রাখা সুখশৈশব ওঠে চনমনিয়ে বাঁশের আগায় লকলকিয়ে ওঠা লাউয়ের ডগা আমাকে দেখে হাসে প্রীতির বাঁধন ছড়ায় ঘুঘুডাকে জাগে প্রাণ নদীও নৃত্যের তালে দোলে অকস্মাৎ কে যেন বলে কানে কানে ‘দ্রুত সারো কাজ, সূর্য পা বাড়িয়েছে                      অস্তাচলের দিকে’ ঝটপট দুহাত ভরে কুয়াশা ধরি, আলপথে ফেলে আসা…