June 2023

  • বিদ্বেষ ও ভ্রান্তির শেষে

    কী করে এলাম এই এতদূরে বিমূঢ় চাতালে পথে পথে ছিল বুঝি ভ্রান্তির বিদ্বেষ        হয়তো সেটাই ছিল হিসেবের ভূত – হাতছাড়া হয়ে গেছে কতকিছু        প্রায় শূন্য হয়ে এলো আমার ভাঁড়ার, হয়তো প্রবীণ দিন খুবলে খাবে আরো কতকিছু! তখন ব্যাকুল হাত হাতড়াবে 888sport sign up bonusর খনিই নাকি ওকেই বলেছে কেউ           জ¦লে-ওঠা দ্যুতিগর্ভ জীবনআধার! সারাটা জীবন আমি…

  • তাকাও একবার তুমি  

    যে-দৃষ্টিতে তাকালে অঝরে মন্ত্রবাণী ঢেলে দেয় নিষ্ফলা আকাশ সে-দৃষ্টিতে তাকাও একবার  যে-দৃষ্টিতে তাকালে রাত সেও বনে যায় রমণীয় চুলের বিস্তার সে-দৃষ্টিতে তাকাও একবার যে-দৃষ্টিতে তাকালে পাখির ঝাঁকের মতো স্বপ্নেরা বাড়ি ফিরে আসে সে-দৃষ্টিতে তাকাও একবার। বাগানের ফুল নয়, আত্মার গহন থেকে রং তুলে দাও মস্তকপ্রসূত প্রেম নয়, অকৃপণ রোদ হয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও তাকাতেই প্রেমে…

  • কেবলই ছবি

    জীবন যখন আমি যেভাবে সাজাই কেবলই ছবি হয়ে যাই – অপরাহ্ণের রোদ ক্রমে দীর্ঘ হতে হতে যেভাবে ছায়া হয়ে যায় – যেভাবে অস্তমিত সূর্যের আগুন-উৎসবে মিশে যায় ধ্বংসোন্মুখ ছায়াচিত্র দিন – সেভাবেই; আকাশে বিছিয়ে-থাকা বৃক্ষের শাখারা বিছিয়েছে ছায়া পথে পথে – সেরকম কেবলই ধাবমান মেঘের ছায়ারা ছুটে যায় বৈশাখী রোদের ভেতর; আমিও তেমন যেন কোন…

  • বেলা বয়ে যায়

    বেলা বয়ে যায়, বিকেল ঝিমোয়, সন্ধের নেই দেরি বেলা বয়ে যায়, বৃথা তন্দ্রায় ভালো না কালক্ষেপ বয়ে যায় বেলা, শেষ হয় মেলা, ওপারে যাওয়ার ফেরি ফেলেছে নোঙর, মনের পাথরে মাথা খুঁড়ে আক্ষেপ গত মুহূর্ত অতীতের দিকে অনেক দূর তো গেল কিছুই হলো না, শরতের সোনা রোদ্দুর দিলো ফাঁকি ভেসেছি উজানে, টেলিফোন কানে লাগিয়েই শুনি হ্যালো…

  • দেশভাগ

    প্রেমিক-প্রেমিকারা আজো   বনের ছায়ায়   লেখে নাম  অবিরাম কেবল   কিশোরী এক   কোন অভিমানে লিখেছিল গাছের বাকলে   ‘আমরা চলিয়া গেলাম;’ কারা কারা গিয়েছিল  কেই-বা কোথায় লক্ষ্মী কী রাখে খোঁজ    কে কেন হারায় কিংবা   রাতের আকাশে   অসীম শূন্যতার মাঝে যে তারা   রয়েছে ঢেকে    মেঘের ছায়ায় ভালোবেসে তারে    কেউ কী ফেরায়; শুধু কবি শোনে   ঝরা পাতার মৃদু মর্মরধ্বনি যেন…

  • শালবীথি ও রবীন্দ্রনাথ

    আমি তোমার সাথে হেঁটেছি শালবীথি ভুবনডাঙার পথ – সে ছিল মধ্যরাত ঘুমায়নি শালতল – তোমার  সাথে কথা বলবে বলে বেছে নিয়েছে রাত জোছনা-গলা হাত আমার সাথে ওরাও নিশিরাত; নির্জনতার অন্ধকারে পাশেই মৃণালিনী শম্পা এসে বললে ধরে হাত – কেন? কবির সাথে যাবে কোথায় তুমি? সর্বনাশা পথ – কবি ছাড়া ওখানে কেউ নেই; যাক না কবি …

  • জীবন

    উঠোনের একপাশে আটপৌরে পুরনো বাগানে হাওয়ার সেতার শুনে ঘুম ভাঙত কণ্ঠী ঘুঘু – বনতুলসী-মাধবীলতার। রোদ্দুরে হাত-পা সেঁকে শীতের সকালে আমরাও আসতাম সুন্দরের খোঁজে। পঞ্চশর হাতে যার, যে-অতনু বন্ধ দরোজা খুলে দেয়। বৃষ্টিধোয়া তরুণী গাছের সাজগোজ শান্ত চোখে মিশে যেত গোধূলি তরঙ্গে দশ খুশির বোল আর জয়ঢাক সারাদিন বাজত এই বুকে। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে প্রসন্ন সন্ন্যাসী…

  • লোভ আর হিংসা

    কিছু কি বলার ছিল আজ নয় গতকাল সময় জলপ্রপাতের পিচ্ছিল ধারা নদী হয়ে নেমে আসে সমতলে মিশে যায় নুড়ি-পাথর আর জলজ শ্যাওলা ছোট মাছ পাথরের গা ঠোকরায় নিরুপায় মানুষও একদিন চলে আসে খাদের কিনারে তারপরে ঝাঁপ দেয় নদী হবে বলে লোভ আর হিংসার।

  • যে তোমাকে পেতে চায়

    যে তোমাকে পেতে চায় হৃদয়ের গোপন বন্দরে তাকে তুমি হেলা করে চলে যাচ্ছো ভিন্ন নদীপথে যে নদীতে বাস করে হিংস্র শ্বাপদেরা! উদ্ধারের সূত্ররাশি কে শেখাবে আজ এই রৌদ্রদগ্ধ দুপুরে? প্রাচীন বৃক্ষের কাছে যাবে? শিকড়ের প্রণোদনা যদি পাই তবে আবারো জন্ম নেবো বৃক্ষের মহিমা নিয়ে! দূরাগত মাদলের ধ্বনি শরীরে গুঞ্জন তুলে কোথায় মিলিয়ে যায়? পথে পথে…

  • বিবিধ গল্প

    বিচ্ছুরণ-বর্ণচ্ছটা বর্ণিল পোশাকে গল্পেরা আসে আমার আয়নাঘরে তারা 888sport sign up bonusগদ্য বলে – পায়ে কত্থক নৃত্যের মুদ্রা ফোটে সমবেত স্বরে গায় মেঘমাল্লার এই গল্পেরা আমার মুখোমুখি দাঁড়ায় ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরায় নিয়ে যায় দূরের শহরে – নির্জন কাঠের পুতুলে – জোছনাভেজা রাত্তিরে – নদীর পাড় ধরে হেঁটে অজানা গন্তব্যে – প্রথম আঙুল স্পর্শে – ঠোঁটের মন্থনে –…

  • স্বর্ণা

    আমি কি জানি সোনা নয় আমার চাই পরশপাথর শুধু জানি খনিতে আছে রাশি রাশি সোনা, তাই – খনির পাতালপুরী থেকে তোমাকে পেতে আমি কত যে, কতবার যে জীবন দিই; আকরিক থেকে শোধনে সাধনে তোমাকে তোমার সম্পন্ন মহিমায় পেতে কত যে ঘাম ঝরাই, এভাবে ঘাম রক্ত ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে এক স্বর্ণদেবীতে আমার বিশ্বাস ঠাঁই খোঁজে…

  • অবশেষের সুখ

    অস্পষ্ট গতর হাতড়ে মানিক খোঁজস রে বেআক্কেল! ঘোমটায় লুকানো শরীরের ভেতরের শরীর। অহন ধুতরা ফুলের বিষ সারাদেহে! কই গেল চন্দনের বাসনা? তুইও খোঁজস, আমিও খুঁজি! সাধের বৈকুণ্ঠ অহন হাবিয়া-দোজখ! একগাছি কাচের চুড়ি বিক্রি করায় বাইদানির আট বেহেশতের সুখ। আমার তখন সুখ ছিল তোর বাসি বিছানায় গড়াগড়ি করায়! অবশেষে সুখ শেষ দরজায় খিল দিয়া মরণ-কান্দন কান্দে!