November 2022

  • কার নাম হয়ে যায় লেখা

    পরবাসে বাস করে জুয়াড়ির মতো ফেরো তুমি শূন্যহাত নিয়ম মান্যের ঘরে অনিয়মে বসে আছে তোমার ওই মন জনারণ্যে অনায়াসে নগ্নদেহে হেঁটে চলে সন্ন্যাসী যেমন তুমি ও তোমার মনে রাতদিন বেড়ে চলে কেবলই সংঘাত। কোন সে-সুদূর দেশে আলো ফেলে আমি তার খুঁজি পথরেখা স্বর্ণমুদ্রার হাটখানি লিজ নিয়ে বসে আছে রাত্রির আকাশ রমণী আসে না আসে মেয়েলোক…

  • ভালোবাসা ভালোবাসা

    তোমার চোখের জলে নদী নয়, বদ্ধ জলাশয় আমাকে ডোবায় শুধু, বলে – ডুব দিয়ে দেখো তলে, 888sport sign up bonusর ভাগাড়ে জমা কত প্রেম, বিরহ-প্রণয় আরো কত ছাইপাশ মিশে আছে এই নোনাজলে। তোমার চুলের খোঁপা কালো নয়, মেঘের আঁধার ঢাকে দিকচক্রবাল, আলোরেখা নিয়েছে যে ছুটি, লোমশ কেশর নিয়ে অন্ধকার সাম্রাজ্য বাড়ায় অরণ্যের পাশ ছুঁয়ে গেঁথে রাখে কাপালিক খুঁটি।…

  • অখিলবন্ধুর গান শুনে

    অখিলবন্ধুর মতো গীতলতা ঝোপের আড়ালে থাকে দীর্ঘদিন কাঠুরিয়া আর করাতিরা মল্লযুদ্ধ শেষে খোরাকির দানাপানি ঝাঁকা ভর্তি করে চলে গেলে থকথকে কাদায় লেগে থাকে এবড়োখেবড়ো নকশায় ওদের করুণ জীবনের চিত্র রাজসিক নীরবতা ও গাম্ভীর্য করে অবতরণ বিরক্ত পড়শিজনের পরিপাশে – ওরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচে ধীরে শ্রুতির পরমানন্দ হয়ে ভেসে আসে অখিলবন্ধুর স্বর্ণকণ্ঠ আড়ালের পর্দা সরিয়ে সুর…

  • ঠিকানা

    শেষ কবে আমি আমার ভেতর প্রবেশ করেছি মনে নেই, শীতের পাখিরা উড়তে উড়তে আমাদের শহরে এলে শিকারির নেশাতুর চোখের তাড়া খেয়ে মায়ের আঁচলে লুকিয়েছিলাম, প্রবেশ করিনি আমার ভেতর, প্রেমিক ভেবে একজনকে বাঁশি কিনে দিলাম আমার খুব কাছের বন্ধুটি বাঁশি শুনে দুলছে তিলক সাপুড়ের পোষা সাপিনীর মতো – সেদিনও মনে হয়নি নিজের ভেতরে ফেরার কথা, নদীভাঙনের…

  • দ্যুতিময় অক্ষর

    বৃক্ষ একদিন চৌকাঠ হয় ছায়া হয় মানুষের পলিকণা গড়ে সবুজ চর নীল জলের মাঝে প্রবালেরা হয় জলপাই দ্বীপ মানুষরা হেঁটে যায় দিগন্তরেখা ছিঁড়ে ভাঙে স্বপ্নঘর ক্ষয় হয় সোনার মোহর কেবল অক্ষরগুলো দ্যুতি ছড়ায় প্রাণের ভেতর।

  • কম্পাস

    সুহিতা সুলতানা অদ্ভুতভাবে হেলে পড়েছে বিবেক চেয়ে দেখি কারো মাথা নেই! শূন্যতা দৌড়ে বেড়াচ্ছে চারদিক। মানুষ মরে গেলে কিছুই থাকে না। অমরত্ব মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর ফাঁপা বেলুনের মতো! আগুন মেলে দিয়েছে ডানা। বরফের নিরপেক্ষতা চিরকাল একই রকম! কম্পাসের কাঁটা ঘুরে গেলে জীবনও দিকহীন অসাড় পড়ে থাকে। এই যে অপক্ষমতার চাপে পড়ে ইতিহাস ঘুরে দাঁড়ায়, ভেঙে…

  • হাইকু

    ১. যুবতী ফুল প্রেমিকের তরেই না অলিকুল? ২. গগনে চাঁদ তারকাবেষ্টিত কে তার নাথ? ৩. বিশাল বন রোজ রোজ উজাড় লোভ কারণ। ৪. ঘরের মাঝে নাগিনী এক ফুঁসে সকালে সাঁঝে। ৫. তোমার আছে আমার নেই তাই পেতে ধাই যে। ৬. গোধূলি কাল দিন রাতের চুমো প্রেমোত্তাল। ৭. গাধার দেশে গাধা বড় শুনেই ঘোড়ারা হাসে। ৮.…

  • নদী

    ঘাটে গিয়ে শুনি বেড়াতে চলে – গেছে নদী, ফিরবে সন্ধ্যায়। এমন এক দিনও কী ছিল –   যেদিন নদীর সঙ্গে দেখা হয়নি! সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত –           ফিরে তো এলো না নদী … ঘাটকে শুধাই – দেখেছ নদীকে? ঘাট ইশারায় বলে – খুঁজে দেখ।    ও নৌকা – নদীকে দেখেছ তুমি? একটু আগেও তো উজানে ছিল ঘাটের…

  • জীবন

    জীবনের পথে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত এক প্রাণ ঠিক কী যে খুঁজলেন, আর কী পেলেন, জানতে জানতেই কেটে গেল অমূল্য বা মূল্যহীন জীবন। জানেন কী তা, আমার প্রিয় জীবন? শুধু দেনাপাওনার হিসাব মেলাতে মেলাতে সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মিশিয়ে স্বপ্ন বোনা। লাল পানীয় কী নীল, অথবা সাদা, ভেতরটা জ্বলে ওঠে বারুদের মতো, ফোঁটার অনুপ্রবেশে। লাবণ্যলতা ভেবে যাকে…

  • আমি

    আমার এইমাত্র মৃত্যু হলো ওই যেসব পোড় খাওয়া আমিগুলো অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে খাবি খাচ্ছে ওদের মেরে ফেলো। কেউ আছো, শুনছো? আমাকে নতুন করে জন্ম দাও – এইটুকু ভাবার পর মাননীয় আকাশ কাছে এলেন বললেন, যা তুই টিয়াপাখি হয়ে অজপাড়াগাঁয়ে থাক। আমি আনন্দে উড়তে থাকলাম শহর থেকে নগর লঙ্কা খেলাম, পকা মারলাম, কিছুদিন খাঁচায় থেকে ভালোমন্দও…

  • অগ্নিপাঠ

    আগুনকে বলেছি,  যাও, জিহ্বাগুলোকে নমিত করো আগুন ফিরে এসে বলল আমাকে, মানুষ তো অগ্নিভুক, তারা আগুনকেই ভালোবাসে। 

  • প্রেম

    ওগো বিনোদিনী একদিন পথে বিছিয়েছিলে                                 পায়ের রঙিন,  এখন সেখানে পাথরের ভাঁজ তবু দাঁড়াই নীরব নিলাজ  তুমি ফুটে ওঠো জলে ভেজা হাঁস পালকে তোমার বনের সুবাস  আমি মিশে থাকি তোমার শরীরে ঢেউয়ের                               মতোই লীন।