October 2022
-
সিন্ধুপারের গজলডোবা
বড় পুকুরের ঘাটে বসে জল মাপো, হাওয়ায় আলস্যভরে ঠেস; যা ঘোড়েল মাছ জানি, ঠিকানা দেবে না, টিকি ছোঁয় সে সাধ্যটি কার! অথচ, কত না মাছ জলে, টোপ : সুগন্ধি শিফন; চোখের গহনে কালো টলটলে জল। ঠান্ডা, তবু গলা ধরে গান তান পঞ্চমে গড়াতেই খানখান, হুইল নেমেছে, ফাতনা আধো ডোবা হায়! পথ ভুল হলোও, মহাসিন্ধু পার…
-
বুনোফুলের নির্জন গন্ধ
কোথাও কী যাওয়ার কথা ছিল পথের গ্রীবায় গূঢ়সন্ধি বিচ্ছেদ 888sport slot game, দেয়ালের নকশায় মলিন সন্ধ্যার কঙ্কাল গ্রন্থি-বাঁধা ছায়ার কুহক অসুখ-সময়…
-
মিথ্যেদিনের ছবি
নদী এখন নদীর মতো নেই স্বচ্ছ জলে যায় না দেখা মুখ পদ্মপাতায় সাপ! ভারি উন্মুখ – ভালোবাসায় সে এক অভিশাপ গোলাপ নেবো? তাতেও কাঁটা নয় তো সে নিষ্পাপ; তাহলে এক মেঘভাঙা রোদ্দুর আসবে বলে জানলা খুলে রাখি আলোয়-ছায়ায় মিথ্যে আঁকিবুকি তার আড়ালে তোমারি মুখ দেখি – অনন্য এক মধুর ছবি আঁকি; জানি আমি মিথ্যে…
-
888sport live chatকলা
না – আমি চাই আরো কিছু ঠান্ডা কোনো কুয়ো ভরা জল পাতার স্পর্শে ঠোঁট যতটা প্রাঞ্জল আমি চাই কলার ভেলায় ভেসে বহুদূর যেতে জানি বেহুলাও নেই – লখিন্দর আমাদের যেতে হবে গাঙুড়ের বুকে পায়ে হেঁটে চারদিকে বাজিকর প্রেমিক খর্বুটে ভয় নেই আমি তো সবুজ আর তুমি নীল জানো তো গাছের পাতারা সব আকণ্ঠ হলুদ নদীর…
-
গোলাপ চেয়েছিলাম
গোলাপ চেয়েছিলাম – গোলাপ হাতের মুঠোয় এসে বলল – এই কাঁটাটুকু সহ্য করতে হবে । বৃষ্টি চেয়েছিলাম – শুকনো হাওয়ায় বিষণ্ন হয়ে গিয়েছিল মন বৃষ্টি বললো – বজ্র সহ্য করতে হবে তুমুল বাতাসকেও। তোমাকে চেয়েছিলাম – একটানা ভালবাসা পাওয়ার লোভে। একখানা সুন্দর অনর্গল পিঁড়িতে থাকবে বসে এই মতো ছিল আশা গহিন জলের পিপাসা – তুমি…
-
জীবন যাপন
একদিন সকালের বেলোয়ারি আলোতে দেখলাম এখনো জেগে আছি পূর্ণজ্ঞানে লোকায়ত জীবনের ঋণ কখনো মুছে ফেলা যায় না সে সময়কে কাছে পেতে চায়। লিচুর মতো ঘোলা চোখে পেছনে তাকায়। নদীর মতো জীবন ইতিহাস হয়ে যাক আবহমান সময়ের কাছে এ মনটা একবিংশ শতকের রোদে পুড়ে খাক হাতের মুঠো খুললেই শুধু বালি আর বালি বন্ধুর দায়ভার বুকে নিয়ে…
-
যেতে যেতে কত কিছু
যেতে যেতে কত কিছু যে ফেলে যাই কলম, চাবি কখনো ওয়ালেট বা মানিব্যাগ ভুলে যাওয়া কত কিছু যে হাতড়াই ক্ষয়ে যাওয়া মেমোরিসেলে বিদ্যুচ্চমকের মতো আসে কিংবা যায় কত যে প্রতীতি ছিল সেইসব প্রতিহত হয় বানানো ক্লিশে বোধগুলো তীব্রতায় জ্বলে উঠে নিভে যায় কত যে মূর্ত মুহূর্তে বিমূর্ত হয়ে যায় পূর্ণতার দিকে যেতে যেতে কত ইচ্ছে…
-
শকুন্তলার পোষা হরিণীর চোখ
রেখে দিতে পারো সম্পর্কের আলোকবর্তিকা, কিছু আবর্জনা হৃদয় নামক এক দেহগহ্বরের চোরাগোপ্তা পথে সংশ্লিষ্ট খণ্ডাংশে দেহানুভূতির মধ্যে আবেগের অভ্যুদয় কিছু ক্লান্তিবোধ, কিছু ফুল ফুটবার সাড়া … পাতা গজাবার ধ্যানে বৃক্ষের আহ্লাদে আর গণকবরের পাশে মৃত্তিকার অভিমান রেখে দিতে পারো, কিছু পিছুটান; রাত্রির কথোপকথন শেষে জীবনের সমতা আনতে পারে এ রকম কিছু নাম, কিছু সংহত কুঁড়ি…
-
অভিসার
শার্ট চেঞ্জ হয়। চেঞ্জ হয় মেরিলিন মনরোকে নিয়ে ভাবনার আদ্যোপান্ত। শুধু রাঙামাটি জুড়ে অদিতির বোন। দোয়েল চত্বর থেকে ঝুলন্ত ব্রিজের ওপর ভেসে আসে দূর পাহাড়ের মেঘ। সেই সাথে পুরনো চিঠির মতো ভালোবাসা ভালোবাসা। আমি দিকভ্রান্ত হই। অদিতির বোন শুধু স্বপ্ন এগিয়ে নেয় বুকে রেখে নীল ওড়নার ঘ্রাণ। বৃষ্টি সঙ্গী হয় আমার একাকিত্বের দীর্ঘ বারান্দায়।
-
অগ্নিপাঠ
আগুনকে বলেছি, যাও, জিহ্বাগুলোকে নমিত করো আগুন ফিরে এসে বললো আমাকে, মানুষ তো অগ্নিভুক, তারা আগুনকেই ভালোবাসে।
-
ফেরা
বারেবারে ফিরে ফিরে আসি পত্রপল্লবেরা ডেকে নিয়ে আসে বনের সকাশে, মাঠে, ধানে, রোদের মলাটে, আমি এক হীরামন পাখি পাতার সবুজ আমার শরীরে আঁকে সাত রং বর্ণালি আঁখি, নদীটার মতো বয়ে যাই, ধীরে, প্রভাত সমীরে শিরায় শিরায় সোনার প্রতিম রক্তকে ঢেলে দেয় সূর্যের ডিম।
-
সাম্যবাদ
বুঝতে পারি – কোন কোন শিরায় প্রবাহিত হয় আলো কোথা দিয়ে ঢোকে বিষ কারা কারা বাজায় বাঁশি কোথায় শূন্যস্থান থেকে উঠে আসে শিস! মনে করো – গাছ যদি ঝড়কে চোখ রাঙায় পুকুর যদি ফিরিয়ে দেয় সব ঢিল রাস্তা যদি উড়িয়ে দেয় সব ধুলো দরজা ছেড়ে যদি দাঁড়িয়ে থাকে খিল! এবার তাহলে – বালিতে মুখ গুঁজে…
