October 2024

  • সভা 

    কোটর থেকে বাড়াল মুখ টিয়া কাঠঠোকরা সরে গেল হাসি হাসি মুখ, ওরা কেউ শাস্ত্র জানে না। স্নানঘর থেকে সোনার ময়না তবু উঁকি দিলো বারান্দায়, তারও কিছু বলার আছে, ময়দানে ভিড় তাই জানাল ইশারায় – ভাষণ রাখবে মাঠে। মাঠভর্তি শ্রোতা, তারা কেউ পাখি নয়। দোলে পক্ষীকুল, রহস্যময় শূন্যের খাঁচা                                দ্বার খোলা

  • ক্ষুধা

    ক্ষুধা মেটানোর জন্য             কত রকমের অগ্নিকুণ্ডে পুড়ি! ক্ষুধা নিবারণের জন্য চব্বিশ প্রহর ছোটছুটি করি         চব্বিশ জায়গায় পা রাখি! স্থির থাকতে পারলাম না – স্থানান্তর হতে হতে             আশ্রয়চ্যুত হতে হতে স্থায়ী ঠিকানা বলে আমার কোনো ঠিকানা নেই! আমি কি আমাকে রপ্তানি করিনি?                     আমিও এখন পণ্য! ক্ষুধা মেটানোর জন্য      কত রকমের জার্সি…

  • বিভ্রমের হাত কাঁপে

    বিভ্রমের হাত কাঁপে গুছিয়ে রেখেছি ষড়ঋতু ভালোবাসা অথচ এখন ষড়যন্ত্র যুদ্ধজয়ী হাত আজ মারণাস্ত্র প্রেমিক খুন করে অনাগত স্বপ্ন বিশুদ্ধ সুন্দর খুন করে আত্মজা ও জয়ীষ্ণু জননী স্বর্গীয় ফুল থাকার কথা অথচ বিষাক্ত কাঁটা বাড়িয়ে দিয়েছি সুখ ফিরে আসে নৈঃশব্দ্যে নিন্দিত ব্যথা শীতল অনুভূতি ছড়াতে দেখি হাত ভরা কষ্টের আগুন ফিরে ফিরে দেখি প্রতিশ্রুতিগুলো বীভৎস…

  • তোমার বাড়ি, আমার বাড়ি

    তোমার বাড়ির টিনের চালে মেঘ টলমল করে আমার বাড়ির উঠোনে তা আয়না হয়ে ঝরে আমার বাড়ির ফুলবাগিচায় তোমার বাড়ির অলি গুনগুনিয়ে গানের সুরে জড়িয়ে ধরে কলি তোমার বাড়ির দামাল বাতাস আমার বাড়ির ঘাসে মনের সুখে চিরল দাঁতে খিলখিলিয়ে হাসে আমার বাড়ির কইতরেরা তোমার বাড়ির খোপে মনভোলানো বাকুম বকে পেখম-মেলা রূপে তোমার বাড়ির পুকুর-জলের ছলাৎ করা…

  • বিশালাক্ষী-একশ

    মিনস্কাম পূর্ণ হয় না কদাচিৎ, এক কূলে মন ধরে না অন্য কূলে সাড়া। চাঁদ যদি মেঘে ঢাকে; মেঘ সরে গেলে ঢালে আলো। ব্রহ্মপুত্রে জল শুকালে, সোমেশ্বরী ভরা।

  • বিশালাক্ষী-পঁচানব্বই

    কী বাঁশি বাজাও কদমতলার ধারে ধারে; বকুলের ঘ্রাণে নিশি ভোর হয়; পুদিনার স্নিগ্ধ ঝাঁঝে রাত ওঠে ঊষার দুয়ারে! পাটিসাপটা পিঠার খুশবু সনাতন চাপে ঊর্ধ্বে বায়ু হিল্লোলিত হয়। ওিঠো, জাগো, দেখো, অতিথি কে তোরণ-দুয়ারে বায়ু বহে, জাগে নদী, ফুল ফোটে, পাখি গায়!

  • ঘণ্টাধ্বনি আর নির্ঘুম রাত

    ঘণ্টাগুলি যায় বেজে যায় অবলীলায় কে যে বাজায়, বাজিয়ে যায় নিজের মতো বারে বারে চমকে উঠি ঘুম ভেঙে যায় চমকে তাকাই ষষ্ট তলার জানালা থেকে বহু দূরের আকাশ দেখি তারায় ভরা কখনো বা মেঘের মায়া জড়িয়ে থাকে  সেই আকাশে, আড়ালে তার চন্দ্র তারা। এই ধ্বনিটা সেই ধ্বনিটাই, যে-ধ্বনিটা এক শৈশব জড়িয়ে থাকা সকাল দুপুর সন্ধে…

  • দুঃখ নদীর ধারাপাত

    অসহ্য ব্যথার আর কোনো ধারাপাত নেই। অচেনা শহরের গলিপথ ধরে, যে-ব্যথা দিন গোনে আঁচলের উষ্ণতা, সে এখন বিষণ্ন হাওয়ার রাত হয়ে, নির্জনতায় খুঁজে চলে – ভুলের যাপিত সময়। ক্ষয়ে যাওয়া কালের প্রশ্বাসে, যে ক্ষতচিহ্ন ভেসে আসে,             সেও এখন, অহংকারের উচ্ছন্নে যাওয়া পাখির পালক। সাদাটে অন্ধকার নিয়ে, এই সব ভুলের যাপিত সময়, জেগে থাকে খরা…

  • ভাঙা গামলায় ব্রহ্মপুত্র

    যেন এক ভাঙা গামলায় পড়ে আছে বিষণ্ন সন্ধ্যার ব্রহ্মপুত্র ফিরে যাচ্ছে সকলে – যারা এতক্ষণ ফুচকা আইসক্রিম চটপটিতে মশগুল ছিল গৃহের তাড়া খাওয়া ব্যাকুল পা নিয়ে হাঁটছে যে যার মতো। অপরাহ্ণে গল্প জমেছিল খুব যদিও মন্বন্তরের গল্প, হৃদয় রক্তাক্ত কোনো ব্যথিতজনের গল্প আসেনি, জমে ওঠা আসরে তবে কী ছিল? কেউ কেউ রঙিন জামদানির সর্বশেষ বাজারমূল্য…

  • জুলাই ’২৪

    বৃত্ত পেরিয়ে গেলে রাজপথ থাকে, রণভূমি থাকে … আঁচলবন্ধ ছিঁড়ে প্রতিবাদী মিছিলে মিছিলে যারা করেছিল ভিড় … শ্রাবণের শেষতম দিনে ওদের রক্ত ধুয়ে নেমে গেছে জল। এ শ্রাবণে আমি দেখেছি বোশেখ মাস               তীব্র রৌদ্রতাপ এ শ্রাবণ হলো রোহিত লিপির কাল খল বুলেটের প্রামাণ্য ইতিহাস। জল নেমে যায় রক্ত ধুয়ে ধুয়ে তবু 888sport sign up bonusঘরভরা কত অশ্রুবাষ্পজল!…

  • বিপ্রতীপ

    ভালো নেই, আমি ভালো নেই – কথাটি বলার জন্য কাউকে পাচ্ছি না, এমন কী অনুধাবনের জন্যেও কেউ নেই! সমুদ্রের কাছে গেলে আরো একা হয়ে পড়ি পাহাড়ও আমার নিঃসঙ্গতায় সাথি হয় না … আমার ভালোবাসার তুমি ভালো নেই – তুমিও কাউকে কিছু বলতে পারছো না! পারোনি বলেই অহেতুক তোমাকে খুঁজি না – আজকের রাতকে জানিয়ে রাখলাম…

  • প্রত্যাখ্যান

    ভেবেছিলাম ডাকবে না কাছে ডেকেও এমন করে ফিরিয়ে দেবে তেমন ভাবিনি। নিজ ভুবনে বন্দি ছিলাম গ্রন্থি প্রেমডোর নিঝুম রাতে, নীরব প্রাতে ঘুম পাড়াতে, ঘুম ভাঙাতে আড়াল দিয়ে গেছে বয়ে সুনন্দ প্রহর মেঘ জমেছে আকাশজুড়ে জানতে পারিনি।  শীত ফুরোলে মধুমাস, এই সত্য কবি জানে কৃষক জানে, বৃক্ষ জানে জানে বলেই কাল গুনে শুকোয় তারা অশ্রুধারা ঝরাপাতার…