January

  • জগৎ জুড়ে প্রাণের মেলা

    জগৎ জুড়ে প্রাণের মেলা

    হাতেখড়ির পালা একবারে তো আর শেষ হয় না। পড়ে থাকে দ্বিতীয় অধ্যায়। সেটি গণিতের জগৎ। আমরা সবাই দুটি মাত্রায় সীমাবদ্ধ। এক, ভাষা – দুই, গণিত। অ আ শেখার পর আসে রাশি শিক্ষার পালা। তো বর্ণপরিচয় শেখার পর শুরু হলো গণিত পাঠ। এক থেকে দশ পর্যন্ত লেখা চলল। এই প্রথম সিঁড়ি ভাঙার পর এগারো থেকে কুড়ি।…

  • দখিনা দুয়ার

    দখিনা দুয়ার

    এক সাধারণ গৃহস্থের বাড়িতে সিঁধেল চুরি হয়েছে। নিয়েছে সাধারণ জিনিসের সঙ্গে গৃহিণীর লুকানো মহামূল্যবান একটা বস্তু। পরদিন সকালে গ্রামের সালিশে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে চালপড়া খাওয়ানো হলো, কিন্তু কেউ ধরা পড়ল না। বিচলিত গৃহিণী ভরা মজলিশে ঘোষণা করলেন, চোর ধরা পড়লে, চুরির মাল উদ্ধার হলে, মজলিশে যত লোক আছে সবাইকে খাসির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়াবেন। এরকম একটা…

  • হৃদয়-দুয়ারে ধরো গান

    বাড়ালেই ধরে ফেলবে এই মগ্নতায় ঝোলের আলু কেটেছে, চাটনির আমও, অথচ তেল-মশলার টানাটানি কলুর কলও বন্ধ চিন্তামণি নিদ্রাতুর এই মনে জাগে! ধরে ফেলবে এই শুভ বাসনায় রাত্রির গেরো কাটাতে গোপালকে বলেছে শান্ত থাকো, হৃদয় দুয়ার মেলে গান – ধুয়ো দিতে দিতে দেখ, চোখ ভালোবেসে একদিন অন্ধ হবে ঠিক কলুর মালিক আবার জমাবে তেল কলে, বঁটিতে…

  • ইঞ্জিন

    কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখি      ট্রেনের বগিগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে,              ইঞ্জিনের কোনো দেখা নেই! কখন আসবে সশব্দে ইঞ্জিন? হুইসেল বাজিয়ে বাজিয়ে –    বগিগুলোর সাথে মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় হবে, বগিগুলো অসহায় পড়ে থাকবে না –             অচল অবস্থা থেকে সচল হবে! কতদিন হলো বগিগুলো প্রত্যাশিত ইঞ্জিনের অপেক্ষায়!     বগিগুলোতে ধুলো জমছে        ইঞ্জিনের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে…

  • মাছ ধরেছি

    অথই জলে মাছ ধরেছি চিকন জালে আউল বাউল মাছ ধরেছি এই দ্যাখো না – মলা, ঢেলা, কানকাটা কই রূপচাঁদা আর রঙিন রোহিত দেখতে কি পাও আঁশের ঝিলিক? দিল-দরিয়ায়, রূপ-দরিয়ায় আমি কিছু মাছ ধরেছি জন্মকানা ও নিকারি, কিনবে নাকি?

  • প্রবল নৈঃশব্দ্যের মধ্যে

    প্রবল নৈঃশব্দ্যের মধ্যে  খুঁটে খুঁটে কিছু পোকা দেখা যায়।  দেখা যায় মত্ত হাওয়ার ভেতর  গুঁড়ো গুঁড়ো ধূলিকণা উড়ছে।  ঝরা পাতার সামান্য শব্দ  বিস্ফোরণ হয়ে ওঠে।  দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার নিমেষগুলো কাছাকাছি আসে।  ওই তো শব্দ – কানের ভেতর আগে শুনি নাই ভালোই তো উচ্চারণ  কে কথা বলছে!  যারা বাকহীন তারা  যারা ভাষাহীন বোবা  শুনতে পাচ্ছি –…

  • নোটেশন

    তোমার নোটেশনগুলো বড় বিপজ্জনক শব্দে-সুরে, রঙে-রসে তার যত স্তুতিই হোক সে কেবল এক সুন্দরের প্রপঞ্চ – ধ্বংসযজ্ঞে আত্মাহুতির প্রণোদনা; তোমার ভ্রুকুটির বিদ্যুচ্চমকে যতবার আমার জগৎ আনন্দে উদ্ভাসিত ততবার আমার মাথায় বাজ পড়ে। বস্তুত তারা বড় প্রোভোকেটিং তোমার ওষ্ঠ, স্তন, ঊরুসন্ধির অতল স্পর্শ আমায় স্বর্গে নেবে এমন নোটেশনে প্রলুব্ধ আমি বারবার খুনোখুনিতে জড়াই – তার পাপে…

  • বাড়ি

    সঞ্চয় যা কিছু ছিল সব দিয়ে বানালাম বাড়ি একটা! ফুটপাতে শুয়ে থাকা গৃহহীনেরা প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে একটা বাড়ির রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলোর দিকে বিমুগ্ধ তাকিয়ে থাকে ছিন্নমূল শিশুরা। বাড়ি আসলে পছন্দ করে পাখিরাও  এমনকী অপরাহ্ণের রোদ! বাড়ি কি আর সবাই বানাতে পারে! সবাই কি থাকতে পারে নির্মিত বাড়িতে সবার? এই যে আমার বাড়ি ঢুকতে…

  • বিদায় বলি হে সুবর্ণ সময়

    যতই গুছিয়ে আনি গুছানো তো হয় না কিছুই! কার ইঙ্গিতে সব এলোমেলো হয় দ্রুতলয়ে? ছড়ানো-ছিটানো সব আসবাবে ধুলো জমে একাকার হয় সবাই তাকিয়ে দেখে, হাসে আনন্দে বিভোর হয় দেখি এ কেমন পড়ন্ত বিকেল আমার? এক ফোঁটা রং নেই, ধূসর পশ্চিম আকাশ আকাশের মেঘখণ্ড ম্রিয়মাণ থেকে থেকে উড়ে চলে দূর থেকে দূরে …। আগত সন্ধ্যা নিয়ে…

  • একলা পথে

    চলেই তো গেছে এমন অনেক দিন দীর্ঘ কোনো চন্দ্রিমা রাতের অপেক্ষায় আকুলি-বিকুলি নৈসর্গিক আঙিনায় বিভোর ঘুমকাতুরে আমি দেখা হয়নি সে কোমল সৌন্দর্যের আলো। চলেই তো গেছে এমন অনেক দিন অযুত নিযুত মাইল দূরে দূরে মেঘের ভেতরে মেঘ ভেসে ভেসে চেয়ে থাকি সূর্যাস্তের দিকে পশ্চিমাকাশে পাখির পালকে শরতের কাশবনে হাওয়ায় দুলে কি না শাড়ির আঁচল। চলেই…

  • জীবনপরিধি

    সামাজিক হৃদপিণ্ডের আয়োজনে বাড়িয়ে দেয় অভাব। অথচ আমরা প্রাণান্ত সমীকরণ খুঁজে চলি বারবার স্বপ্নভুক পাখির ডানায়। ভেঙে ফেলি 888sport free betর গুণনীয়ক। স্বপ্নের আয়োজন এসে ভর করে আঁধারের পরিমাপ দেখে। আর এভাবেই সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে গুণিতকগুলো একমুঠো ভাতের অপেক্ষায় আজন্ম সময়ের সমান্তরালে হেঁটে। মঞ্চের দৃশ্যকল্প থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ আগুনের জিহ্বায় পা-রেখে ভবিষ্যতের সিঁড়ি ভেঙে চলে…

  • অলিখিত নির্দেশ

    দিন এনে দিন খায় যারা – উঁচুদের উঁচুনিচু দেখার পরেও তারা  থাকবে বোবা, বধির-জন্মান্ধ।  সোনামুখী বীচির সমান উষ্মা প্রকাশও সম্পূর্ণ বারণ।   চোখে-মুখে জ্বালা ধরা কিংবা দৈনন্দিন চাপে মেরুদণ্ড ‘দ’ রূপ হলেও নাসিকা কুঁচকানো, চোখ ঠার, ভেংচি কাটা, আড়ুল তোলা বা মুখ ফুটে কথা বলা  সেই ঘোড়া রোগ, আধা মণ অপরাধ।  বরং যা চাপিয়ে দেবে তা নেবে…