June

বেলা বয়ে যায়, বিকেল ঝিমোয়, সন্ধের নেই দেরি বেলা বয়ে যায়, বৃথা তন্দ্রায় ভালো না কালক্ষেপ বয়ে যায় বেলা, শেষ হয় মেলা, ওপারে যাওয়ার ফেরি ফেলেছে নোঙর, মনের পাথরে মাথা খুঁড়ে আক্ষেপ গত মুহূর্ত অতীতের দিকে অনেক দূর তো গেল কিছুই হলো না, শরতের সোনা রোদ্দুর দিলো ফাঁকি ভেসেছি উজানে, টেলিফোন কানে লাগিয়েই শুনি হ্যালো…

প্রেমিক-প্রেমিকারা আজো   বনের ছায়ায়   লেখে নাম  অবিরাম কেবল   কিশোরী এক   কোন অভিমানে লিখেছিল গাছের বাকলে   ‘আমরা চলিয়া গেলাম;’ কারা কারা গিয়েছিল  কেই-বা কোথায় লক্ষ্মী কী রাখে খোঁজ    কে কেন হারায় কিংবা   রাতের আকাশে   অসীম শূন্যতার মাঝে যে তারা   রয়েছে ঢেকে    মেঘের ছায়ায় ভালোবেসে তারে    কেউ কী ফেরায়; শুধু কবি শোনে   ঝরা পাতার মৃদু মর্মরধ্বনি যেন…

উঠোনের একপাশে আটপৌরে পুরনো বাগানে হাওয়ার সেতার শুনে ঘুম ভাঙত কণ্ঠী ঘুঘু – বনতুলসী-মাধবীলতার। রোদ্দুরে হাত-পা সেঁকে শীতের সকালে আমরাও আসতাম সুন্দরের খোঁজে। পঞ্চশর হাতে যার, যে-অতনু বন্ধ দরোজা খুলে দেয়। বৃষ্টিধোয়া তরুণী গাছের সাজগোজ শান্ত চোখে মিশে যেত গোধূলি তরঙ্গে দশ খুশির বোল আর জয়ঢাক সারাদিন বাজত এই বুকে। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে প্রসন্ন সন্ন্যাসী…

কিছু কি বলার ছিল আজ নয় গতকাল সময় জলপ্রপাতের পিচ্ছিল ধারা নদী হয়ে নেমে আসে সমতলে মিশে যায় নুড়ি-পাথর আর জলজ শ্যাওলা ছোট মাছ পাথরের গা ঠোকরায় নিরুপায় মানুষও একদিন চলে আসে খাদের কিনারে তারপরে ঝাঁপ দেয় নদী হবে বলে লোভ আর হিংসার।

যে তোমাকে পেতে চায় হৃদয়ের গোপন বন্দরে তাকে তুমি হেলা করে চলে যাচ্ছো ভিন্ন নদীপথে যে নদীতে বাস করে হিংস্র শ্বাপদেরা! উদ্ধারের সূত্ররাশি কে শেখাবে আজ এই রৌদ্রদগ্ধ দুপুরে? প্রাচীন বৃক্ষের কাছে যাবে? শিকড়ের প্রণোদনা যদি পাই তবে আবারো জন্ম নেবো বৃক্ষের মহিমা নিয়ে! দূরাগত মাদলের ধ্বনি শরীরে গুঞ্জন তুলে কোথায় মিলিয়ে যায়? পথে পথে…

বিচ্ছুরণ-বর্ণচ্ছটা বর্ণিল পোশাকে গল্পেরা আসে আমার আয়নাঘরে তারা 888sport sign up bonusগদ্য বলে – পায়ে কত্থক নৃত্যের মুদ্রা ফোটে সমবেত স্বরে গায় মেঘমাল্লার এই গল্পেরা আমার মুখোমুখি দাঁড়ায় ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরায় নিয়ে যায় দূরের শহরে – নির্জন কাঠের পুতুলে – জোছনাভেজা রাত্তিরে – নদীর পাড় ধরে হেঁটে অজানা গন্তব্যে – প্রথম আঙুল স্পর্শে – ঠোঁটের মন্থনে –…

আমি কি জানি সোনা নয় আমার চাই পরশপাথর শুধু জানি খনিতে আছে রাশি রাশি সোনা, তাই – খনির পাতালপুরী থেকে তোমাকে পেতে আমি কত যে, কতবার যে জীবন দিই; আকরিক থেকে শোধনে সাধনে তোমাকে তোমার সম্পন্ন মহিমায় পেতে কত যে ঘাম ঝরাই, এভাবে ঘাম রক্ত ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে ঝরাতে এক স্বর্ণদেবীতে আমার বিশ্বাস ঠাঁই খোঁজে…

অনতিদূরেই গঙ্গা – হাওড়ার হাত ধরে পদ্মার হাওয়া বয়ে যায় মেঘনার মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ! চলে যায় দূর দেশে দেশে। ট্রামলাইনের রেখা ধার করে পার্কসার্কাস উত্তর চব্বিশ পরগণা ধরে একদিন পৌঁছে যাবে খুলনায় কোনো এক মুখর বর্ষায়! মনে তবু প্রশ্ন জেগে রয় – রেল গেদে কেন বেঁধে দেবে পথ কতদূর যাবে – হরিদাস, রফিকুল?…