2015

  • থিওডোর বস্নখ, ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ

    গৌতম বসু   বৃষ্টি মাথায় ক’রে উঠোন পার হতে দেখলেই তাঁর বউমা যতবার হাঁই-হাঁই ক’রে উঠতেন ততবার বেলামা সহাস্যে তাকে বোঝাতেন, ওরে, বৃষ্টির ফোঁটা মাথায় পড়া মঙ্গল, বুদ্ধি গজায়। কামিনী স্টোর্সের ছাউনির নিচে দাঁড়িয়েছিলাম পুরনো কথাটা সহসা মনে প’ড়ে গেলেও, স্যর ওটা বৃষ্টিপতন সংক্রামত্ম ক্ষণেকের মোহঘোর, অধুনা আমি আপনার কথাই ভাবি, ঘুরে-ফিরে কাজে-অকাজে আপনার কথা,…

  • পা দুটিকে বলি

    মিনার মনসুর বন্ধুদের নিয়ে কে না গর্ব করে। একজন এইমাত্র বঙ্গোপসাগরকে ধরে এনে চেপেচুপে ঢুকিয়ে দিলো তার ব্যক্তিগত সুইমিংপুলে। দুর্গম দ্বীপে জন্ম। সমুদ্র তাকে কতভাবেই না হেনস্থা করেছে হতদরিদ্র শৈশবে! এখন তার শখ সমুদ্র পোষা। দ্বিতীয়জনের রক্তে মিশে আছে পুরনো 888sport appর ঐতিহ্য। স্বভাবতই সে ইয়ার-দোসত্মদের নিয়ে ঘটা করে ঘুড়ি ওড়াতে পছন্দ করে। তাই একদিন সে…

  • মুহূর্তপল

    অমিতাভ গুপ্ত   আজো এই মহাবিশ্বদ্যুলোকের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে অজস্র অজস্রতর মহাবিশ্বদ্যুলোকের কম্পিত দুঃখের মতো সেইসব অজ্ঞাত যুগ আর যুগামত্মর যারা আমাদের সবুজাভ গ্রহটির আঙিনায় পুটুসফুলের ঝাড়ে কলাবতী ঝোপে হৈমবতী প্রতিমাকে সাজিয়ে রেখেছে অন্যদিকে নীলকণ্ঠ। যেদিকে বেদনাহত ক্ষিপ্ত গরল যেদিকে আপন সজ্জা থেকে সর্বোত্তম ভুজঙ্গটি তিনিই মোচন করেছেন এই-যে মুহূর্তপল, আজো এর অমত্ম নেই,…

  • অবস্থান

    হাবীবুলস্নাহ সিরাজী   অনেকদিন থেকে ছিলাম না কিংবা বহুদিন থেকেই আছি পুরোনো কিংবা নতুন শত্রম্নর কাছাকাছি।   পথ ছিলো না জলে কিংবা জলপথেই আছি শাসন আসন থেকে মজুরের পাশাপাশি কুমারের স্রোতে ভেসে বুড়িগঙ্গায় জাগিয়াছি মিত্রের কানামাছি।   শূন্যে ছিলাম শর্তের বহুডোরে গর্ভে ছিলাম নির্জন প্রহরে অতীতের মায়া ভবিষ্যতের ঘোরে শাদা ও লালের মত্ত সমস্বরে।  …

  • দুটি 888sport app download apk

    কামাল চৌধুরী   প্রতিবিম্ব   প্রতিবিম্বের চিৎকারে ভেঙে যাওয়া নিদ্রার পাশে তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি আহত দৃষ্টি নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা নিয়ে দিগমেত্ম গভীর হচ্ছে মধ্যরাত সম্পর্ক রেখেছি তবু ভাঙা সংলাপে                                          অসমাপ্ত, জাগরণে রক্তপাতহীন দূরত্বের গ্রামে কোথাও অঝোর বৃষ্টি কান্নার আগে যে জেগে উঠছে, এখনো সে অমুদ্রিত প্রেম।   লবণ   ঝরে পড়া ছায়া থেকে সামান্য…

  • আশা আর আসা

    রবিউল হুসাইন   কী এমন প্রত্যাশা যে আসতেই হবে প্রতিবার না এসেও তো আসা যায় মনে মনে আশা যায় আশা আসে বারংবার আসা যায় আসার আশায় বসা যায় সিংহাসনে   আশা নেই আশা কখনো থাকে না অমন আসা-যাওয়ার মধ্যেই আশার সরল মন ওই যে বিন্দু বিন্দু আলো ওরা কারো নয় তেমন ওরা সবার ওরা খুব…

  • কান্না

    শ্যামলকামিত্ম দাশ   আগে খুব কাঁদতে পারতাম। রাজপথ ভিজিয়ে ভেউ ভেউ করে কাঁদতাম। ঝিরিঝিরি কান্নাগুলো ছিল দেখবার মতো। জঙ্গলে গোধূলি, তবু থামবার নাম নেই।   এখন আর তেমনভাবে কাঁদতে পারি না। চোখ পাথর। বুক আইঢাই। মন ঝাপসা। কান্নাগুলো অমত্মঃপুরের রাসত্মায় থমকে দাঁড়িয়ে থাকে। বেরোবার রাসত্মা খুঁজে পায় না।

  • দাহ

    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত প্রায় প্রত্যেকে চুলিস্নতে দেবে বলে এনেছিল কাঠ, অমিতেশ কোথা থেকে নিয়ে এসেছিল প্রিয়ঙ্গুশাখা, অরম্নণেশ এনেছিল কাকডুমুরের একখানি ডাল সুগন্ধে আমোদিত, আগুনে আমায় সেঁকবার মুখে আমি বলে উঠলাম : ‘কোথায়, তোমরা শিশুগাছ থেকে মঞ্জুরি আনোনি তো, তার ভালো নাম শিংশপা ফুল, কপিল বর্ণ তার, আরেকটি নাম ভস্মগর্ভা, ভস্মাবশেষ থেকে ছেঁকে নেয় সে তো দিব্য…

  • কসাইখানার মালিক মশাই

    মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়   মুরগি গোরম্ন ভেড়া ছাগল পাঁঠা একে একে পড়লো সবাই কাটা। যেথায়, সেটা ষষ্ঠীপদর মসত্ম কসাইখানা – চিল ও শকুন সারাক্ষণই ওড়ে মাথার ওপর কেবল চরকি ঘোরে – তক্কে-তক্কে থাকে কখন তলায় দেবে হানা। পাশেই আছে রীতিমাফিক একটা পশুখামার – সেটা কসাই ষষ্ঠীপদর আপন সেজো মামার – মাংস বেচেই জীবন চালায় মামা ও…

  • পটেশ্বরী

    শঙ্করলাল ভট্টাচার্য সপ্তম কিসিত্ম   অনেক পরে জেনেছি যে, ১৯০১-এ প্যারিসে এসে পিকাসো নিজের একাকিত্বকে ভরিয়ে তুলতেন ভিখিরি আর বেশ্যা এঁকে। এখনো আকৃতি বিকৃত করে, রূপরেখা ভেঙে নিজের বহুমাতৃক, বহুরূপী রেখাঙ্কন, রেখাঙ্কন সৃষ্টি হয়নি ওঁর। প্রলম্বিত রেখার ওই নির্মাণপ্রবাহ আমারও মডেল অাঁকায় এসে গিয়েছিল। এখন ভাবলে একটু চমকাই কী করে পিকাসোর প্রলেপ পড়ল আমার ছবির…

  • নদী কারো নয়

    সৈয়দ শামসুল হক \ ৪২ \   রাত গভীর অন্ধকারে চারদিকের সত্মব্ধতা হঠাৎ আরো একবার ভেঙে যায়, আবার সেই ধড়াসধস শব্দ ওঠে। পাড় ভাঙনেরই শব্দ কি? ঠাহর হয় না। কন্ট্রাক্টর সাইদুর রহমানের সমুখে সুন্দরী যুবতী হিন্দু বিধবা, কুসমি! মন তাঁর বশে নাই। চোখে তাঁর বিশে^র আর কিছু নাই। কিন্তু ওই যে শব্দটা শোনা গেলো, ওতেই…

  • live chat 888sportের কলকাতা : সত্যজিৎ না রবীন্দ্রনাথের?

    শাকুর মজিদ কলকাতার জন অরণ্যে আমাকে ‘কলিকাতা’ চিনিয়েছিলেন কিছু লেখক প্রথমে। যাঁদের লেখায় আমি এ-শহর সম্পর্কে জানি। সে-তালিকায় ফাল্গুনী-নীহাররঞ্জন-শরৎচন্দ্র বা পরের জেনারেশনের শংকর-সুনীল ছিলেন। আমার শৈশবে রবীন্দ্রনাথ আমাকে কলকাতা চেনাননি কখনোই। একমাত্র ‘ছুটি’ গল্প পড়ার সময় কলকাতায় পাঠানো শিশুটির নাগরিক জীবনের কষ্টের কথা পড়েছিলাম। কিন্তু কলকাতা আমাকে দেখিয়ে চিনিয়েছিলেন প্রথম তিন live chat 888sportকার – রায়-ঘটক-সেন। মেঘে…