আদ্যনাথ ঘোষ

  • শ্রাবণের শরীর

    কতবার ফেলে এসে কতদিন ডেকেছি তোমায় গোপন দাওয়ায়। ঘুম ভেঙে বারবার শ্রাবণের ডুবভেজার গল্প শুনি। বহুবার কতবার কদমফুলেরা এসে ডেকে যায়, স্বপ্নে কাতর – শুনে যায় এভাবেই, পায় না কিছুই! ওরাও কি একদিন ভেসে আসে শ্রাবণের এতসব যুবতী শরীর নিয়ে – আরো কোনো কাকভেজা ডিঙিজল, নোনাজল ভাঙনের মৃত কোনো স্বপ্নরেখায়। তারাও কি তৃষ্ণার জল হয়ে…

  • দুঃখ নদীর ধারাপাত

    অসহ্য ব্যথার আর কোনো ধারাপাত নেই। অচেনা শহরের গলিপথ ধরে, যে-ব্যথা দিন গোনে আঁচলের উষ্ণতা, সে এখন বিষণ্ন হাওয়ার রাত হয়ে, নির্জনতায় খুঁজে চলে – ভুলের যাপিত সময়। ক্ষয়ে যাওয়া কালের প্রশ্বাসে, যে ক্ষতচিহ্ন ভেসে আসে,             সেও এখন, অহংকারের উচ্ছন্নে যাওয়া পাখির পালক। সাদাটে অন্ধকার নিয়ে, এই সব ভুলের যাপিত সময়, জেগে থাকে খরা…

  • তৃষ্ণাদুপুর

    ও সূর্য যৌবন দাও, ঢেলে দাও আলোময় অতল ফাগুন। শতাব্দীর দুঃখভরা গভীর বিষাদ দূর হয়ে যাক, দ্রুত – শনশন ঝড়ের বেগে উর্বরা হাওয়ায়। চরম সত্যের পথে যদি পাহাড়ের বাধা, তবে কীভাবে যে ফুটবে ফুলের কুসুম! ডানা মেলে দেখা দেবে পাখির ঝলক। ছয়টি ঋতু কীভাবে যে গোপনেই গুছিয়ে ফেলে তোমার তৃষ্ণাদুপুর! ভাঙা বাসনায় যদি গ্রাস করে…

  • বাংলার সূর্য

    অজস্র আলোর ঢল নামে সারা বাংলায় দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে দিক থেকে দিগন্তও ভেসে যায় আমি তাঁর অগ্নিগর্ভ চোখদুটো দেখি – দেখি শ্যামল বাংলায় লাল সবুজের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে অনিমেষ দৃষ্টিতে চোখে তাঁর নিরন্তর সংগ্রামী স্বপ্ন দীর্ঘায়ত দেহে তাকিয়ে দেখছে সোনার এই বাংলা। শীর্ণকায়, ক্ষুধার্ত, বঞ্চিত, দলিত বাঙালির অসীম দুঃখ-বেদনা ঝরে যায় সবুজ কিশলয়, চাঁদের…