মাহমুদ কামাল
-
অমিয় বৃক্ষ অধরাই থেকে গেল
মাহমুদ কামাল হেঁটে যেতে যেতে যতটা পেয়েছি, আলো অন্ধকারেই চাদরের মধুরিমা যেটুকু সকাল সজীবতা এনে দিতো সেটুকুই ছিল প্রাপ্তির জিজ্ঞাসা একজীবনের আয়ুরেখা গতিহীন নদীপথগুলো ছোট হতে হতে মৃত দেখা না দেখার মাঝখানে যত বাধা অমিয় বৃক্ষ অধরাই থেকে গেল ছন্দই ছিল একান্ত অনুভবে অপছন্দের অতিরেক ঢেউগুলো ভেঙে দেয় বৃতি নিয়ে যায় দূর দেশে… কেউ কি…
-
সময়ের কাছে নতজানু যত মেধা
সময়ের কাছে নতজানু হয় মেধা আলোকের মাঝে তীব্র অন্ধকার মেঘ নয় তবে মেঘের উপমা যত তত ঢেলে দেয় শুভ্র চাদরে কালি উজানের সাথে দূরপালস্নার ঢেউ সংক্ষুব্ধ শরীরের কোষগুলো অনতিক্রান্ত বৃত্তের ঘুরপাকে মেধা ও মনন পাশ ফিরে শুয়ে থাকে সময়ের কাছে নতজানু যত মেধা পরিপূরকের বিপরীতে হয় নীল একজীবনের হালখাতা খুলে দেখে দ্বৈরথে শুধু চিৎকার-চেঁচামেচি।
-
প্রতীকের সেই ছবি
মাহমুদ কামাল দূরের জানালা থেকে প্রতীকের মতো একটি সুতীক্ষন তীর ছুটে আসে … বুকের ভেতরে এই চিত্রকল্প-নদী বয়ে চলে তিরিশ বছর। আজ এই কার্তিকের আহত বিকেলে প্রতীকটি ছায়া হয়ে শরীরে লুকায়। কাছের জানালা থেকে সৌন্দর্যের নতুন উপমা যতই দৃষ্টান্ত হোক দৃশ্যের ভেতরে বাইরে দূরের জানালা থেকে প্রতীকের সেই ছায়াছবি প্রখর রোদের মতো বিকেলেও নিত্যসঙ্গী…
-
ছাই আর ধুলো
মাহমুদ কামাল যেখানেই ছাই আর ধুলো সেখানেই নির্মাণগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাকে যদি ভেঙে দিতে কেউ হাতুড়ির আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে প্রতিবাদ তখন কলম। নির্মিতি হবেই বলে সে কারো শুনবে না কথা। ছাই আর ধুলো শুদ্ধ সত্যগুলো দেখো না চেষ্টা করে সরাতে পারো কি না!
