শামসুল ফয়েজ

  • লন্ডনের লিসা

    বলবয় থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দুরূহ স্বপ্নের প্ররোচনা আমাকে কেবলই করেছে বিদীর্ণ। আশা ছিল সঠিক আঘাতে বার্ডি পেয়ে যাবো বারবার, কখনো হঠাৎ পাবো সোনালি ঈগল। স্বপ্নের ধূসর ছাইভস্ম মেখে কী অদ্ভুত চেহারা আমার! সোনালি ঈগল পাওয়ার আকাক্সক্ষা সুদূরপরাহত। কাঁটা ঝোপ, পানির পরিখা পার হয়ে বল আমার কেবলই হয় লক্ষচ্যুত বারবার আমার কপালে মিলে বগি, ভুল শুধরে…

  • কন্যাটি আঁচড়ায় চুল

    শামসুল ফয়েজ আমার কন্যাটি আঁচড়ায় লম্বা চুল; তার চুলের গোছায় 888sport app পড়ে তার দু-কানের দুল। কে যেন আমার কন্যার মাথার ওপরে লাগিয়ে দিয়েছে আমার মায়ের দিঘল কেশ। যা দেখে একসময় স্বপ্না ফুপু বলত ‘কী দারুণ, চমৎকার – বেশ’ কন্যাটির সুশ্রী অবয়বে কে যেন বসিয়ে দিয়েছে হুবহু আমার মায়ের মুখ!! তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে নস্টালজিয়ায় উপচে পড়ে…

  • চিতই পিঠার নৃত্য

    শামসুল ফয়েজ   সাদা চাল গুঁড়া মাটির ডহির ভিতরের ফুটন্ত পানির তাপে জমে তৈরি হলো কবোষ্ণ চিতই পিঠা। মালগুদামের বস্তির উদাম মেয়েটি চিতই পিঠাটি দুই হাতে ধরে মাথার উপরে তুলে দারুণ খুশিতে নাচে। ভরতনাট্যম-কথাকলি-মণিপুরি কোনো ছকে মেয়েটির নাচটি পড়ে না। যেন চাটাই-বিছানো ধান শুকানোর লেপাপোছা রোদ-ছড়ানো উঠানে নাচে উৎফুলস্ন খঞ্জনা। যেন ‘কমলায় নৃত্য করে ঠমকিয়া…

  • রামবাবু রোডের সন্ধ্যামালতি (মঞ্জুশ্রী বিশ্বাসকে)

    শামসুল ফয়েজ   রামবাবু রোডের ভাড়াবাসার বারান্দায় ফুটে থাকত লাজুক সন্ধ্যামালতি সকাল-সন্ধ্যায় বেলপাতা-জবাফুল দিয়ে চলত তার পবিত্র আরতি। সন্ধ্যামালতির কপালের মাঝখানে জ্বলজ্বল করত সিঁদুররঙের টিপ। কোলাহলমুখর শহরে নির্জন বাড়িটা ছিল যেন এক আত্মমগ্ন অভিমানী দ্বীপ। তুলসীতলায় প্রতিটা সন্ধ্যায় জ্বলত সুস্নিগ্ধ প্রদীপ।   ব্রহ্মপুত্রের কিনারে, বুড়াপিরের মাজারে, কালীবাড়ি রোডে, লোকনাথ মন্দিরের আঙিনায় থরে থরে ফুটে থাকা…

  • সময়ের হাতে চাবিকাঠি

    শামসুল ফয়েজ   সময়ের হাতে চাবিকাঠি। কী দেবে সময়? আকাশ না মাটি?   সময় পালটায়, প্রীতি হয়ে যায় 888sport sign up bonus। ঠুনকো অজুহাতে ঘটে সম্পর্কের ইতি। বন্ধু হয়ে যায় সুযোগসন্ধানী আততায়ী। হিংসার ইন্ধনে প্রিয়জন হয়ে পড়ে ড্রাকুলার মতো রক্তপায়ী।   সময়-ই নির্ধারণ করে দেয় স্বজন – দুর্জন। না চাইলেও মানতে বাধ্য সময়ের প্রয়োজন।   যত মনোহর হোক…

  • অদ্ভুত অপেক্ষা

    শামসুল ফয়েজ নিষ্প্রভ সন্ধ্যায় অনাত্মীয় রেস্তোরাঁয় বসে থাকা। এই বসে থাকা কোনোকিছুর অপেক্ষা নয়। চোখ খোলা থাকে উন্মুক্ত দরজার দিকে। চোখ বুঝি চায় কোনো সুস্মিত মুখের হঠাৎ ঝলক। কান বুঝি শুনতে চায় কোনো মধুর গৎ-এর সুধাময় গিটকিরি। চারপাশে অচেনাজনের বহু ব্যবহৃত কথার জাবর কাটা। ডাইনে-বাঁয়ে-সামনে-পিছনে সবাই অচেনা। তবু পরিচিত স্থানে অভ্যাসবশত বসে থাকা। এ যেন বা…