শিহাব শাহরিয়ার

  • লাঙ্কাওয়ি

    প্রেমিকার ঠোঁটের মতো ছুঁয়ে দিলাম আন্দামানকে মার্জিত রূপে আমার কাছে ও খুলে দিলো গতর ভাবতে পারিনি ও এতো সুন্দর! এ আমার দ্বীপবাস নয় তবু লাঙ্কাওয়ি আমাকে বাড়িয়ে দিলো বনলতার হাত সুভলংকে মনে হলো ছোট বোন এসো আমরা নীল জলের শরীরকে ঘুমকাতর করি

  • বত্রিশের রক্তমাখা সিঁড়ি

    পঁচাত্তরের পর – একদিন আমি একা একা গিয়েছিলাম বত্রিশের রক্তমাখা সিঁড়ির কাছে দেখলাম – পিতার বুকের রক্ত আধো আলো আধো ছায়াঘেরা সিঁড়ির শরীরে ছোপ ছোপ পড়ে আছে … হত্যাকারীদের নির্মম বুলেটের আঘাতে যে-রক্ত ঝরেছিল পিতার পবিত্র শরীর থেকে যে-রক্ত পিতার পাঞ্জাবিকে করেছিল লাল বাতাসে শুকিয়ে সেই রক্ত ছড়িয়ে পড়েছে বান্দরবান থেকে বাংলাবান্ধা … আমার যৌবনের…

  • পড়ে থাকে অহংকার

    শিহাব শাহরিয়ার যে-অভিমানে ইটভাটার ধুঁয়ারা উড়ে গেছে; আমিও একই অভিমানে উড়ছি কারোর কারোর মনোঘরে। কচি বাঁশের মতো দুলছি তাহাদের হাতের বাতাসে। পশ্চিমের মেঘগুলো কালো করে আমাদের অদৃশ্য উঠোনে নেমে এলে; আমি বকের লম্বা ঠোঁট থেকে সরিয়ে নিই পুঁটিদের গায়ের লালপেড়ে শাড়ি আর চেয়ে চেয়ে দেখি তোমার শাড়ির পাড়জুড়ে বসেছে বৈশাখি মেলা। মেলা, পুঁটি আর নদীজল…

  • পকেটের অহংকার

    শিহাব শাহরিয়ার আমি একটি জানালা বানাব। বাতাসকে বলেছি, তুমি প্রেমিকার মতো প্রতিদিন আমার জানালায় আসবে। আসবে যখন তখন, একা একা, নীরবে-নিভৃতে। বলবে কথা ফিসফিস ফিসফিস ফিসফিস করে। যখন আসবে তখন সময়ের নাম রাখব; ‘পূর্ব সন্ধ্যা’ অথবা ‘চূড়ান্ত সকাল’ অথবা ‘দ্বিপ্রহর’। মেঘেরা যদি নীলিমাকে গ্রাস করতে চায়; তুমি কিন্তু জানালা থেকে প্রতিবাদ করবে। কারণ নীলও আমার…