সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
-
সম্মতি
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আসিফের ঘুম ভাঙল জানালার বাইরে মানুষের হইচই আর চিৎকারের শব্দে। অনেক রাতে বিছানায় গেছে সে, শুয়ে-শুয়ে একটা সিগারেট খেয়েছে, ইয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইলে গান শুনেছে, আর চোখের পাতা ভারী হওয়ার আগ পর্যন্ত পুলকিত মনে সন্ধ্যার ঘটনাগুলোর 888sport sign up bonus রোমন্থন করেছে। সন্ধ্যায় ইদ্রিস হাওলাদারের বাড়িতে দশজন মুরবিবর সামনে মেয়ে রোজিনার সঙ্গে আসিফের বিয়ে নিয়ে…
-
ব্রিফকেস
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্র একটা ব্রিফকেসের গল্প জুড়ে দিলো। তার গলা এমনিতে নিচু, তারপর তোতলামি আছে কিছুটা। আর গল্প যদি বলতেই হয় বাবা, মৌচাকের সামনের জলকাদা আর আবর্জনাময় রাস্তার কাঁধটা কেন বেছে নেওয়া? রাস্তা দিয়ে বাস ট্রাক রিকশা যাচ্ছে যে যার মতো সময় নিয়ে, আর মোহাম্মদ আলী ইনিয়ে-বিনিয়ে মুখ খিঁচিয়ে…
-
প্রাণিজগতের গন্ধ
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম কনস্টেবল সুবল যখন আম্বর আলির গল্পটা বলছিল চার ইয়ার-দোস্তকে, একটা চৌকির ওপর বসে, ঘরের দরজাটা যে সে লাগাতে ভুলে গিয়েছিল, সে-কথা তার মনে পড়েনি। গল্পের শুরুটাতে হাসি ছিল। একটুখানি খোলা দরজা দিয়েও, আমরা দেখেছি, হাসির আওয়াজ বেগে ধায়। ওসি শুনে কপাল কুঁচকে ছিলেন কিছুক্ষণ। কিন্তু সুবলদের হাসিটা শিগগির মিলিয়ে গেল, ওসির কপালের…
-
ছায়া
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শাহিনার বাবা হাশিম মিয়া ছিলেন দিনমজুর। সারাদিন তিনি গতর খাটাতেন – অন্যের বাড়িতে, গঞ্জে, বাজারে। এবং সারারাত একটা কাঠের গুঁড়ির মতো ঘুমাতেন। কিন্তু ঘুম থেকে একসময় জেগেও উঠতেন, কোনো কোনো মাঝরাতে, অথবা ভোর যখন রাতের ঘোমটা সরিয়ে অল্প-অল্প মেলছে নিজেকে – এবং স্ত্রীকে জাগিয়ে, তাকে ব্যতিব্যস্ত করে, নিমেষের রতিক্রিয়া সেরে নিতেন –…
