April
-

সেই লোকটা আর মিঠুনের গল্প
মায়ের সঙ্গে হাঁটছি। মায়ের এক হাতে শক্ত করে আমার হাতটা ধরা। এভাবে হাঁটতে ভালোই লাগে, ঘুরে বেড়াতে। কত নতুন পথ। কত নতুন ঠিকানায় ঘোরাফেরা। অথচ হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। আবার যদি হারাইও – মা তো সঙ্গেই আছে। মাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে বেশ লাগে। কত অজানা গন্তব্য। এ-সময় মনে হয়, কোথায় আছি, কোথায় যেতে হবে –…
-

সার্ভিসিং কোম্পানি
‘আহা, এ-জায়গাটা একদম ক্ষয়ে গেছে আপনার। শুকিয়ে চিমসে গেছে, ভেতরে রসটস নেই তেমন।’ খুবই মোলায়েম কণ্ঠে বলছিলেন ডাক্তার সাহেব, কিন্তু আয়েশা বেগমের চোখমুখ শুকিয়ে যেতে শুরু করল; আর যেটুকু রস অবশিষ্ট ছিল, তাও উবে গিয়ে ফ্যাকাসে দেখাতে লাগল। কিন্তু সেদিকে তাকানোর ফুরসত ছিল না ডাক্তার সাহেবের, নিবিষ্ট মনে তিনি পরীক্ষা করে যাচ্ছিলেন দেহের জোড়াগুলি, অপুষ্ট…
-
বেহুলা বাংলা : সনেট
আমি বন্দি সেন্টাওরের অতল পাতালে মুক্ত হতে চাই উদ্ধার হই যদি আরিয়েদনের মতো তোমার দেখা পাই আমার সাধন-ভজন সবই তাই বেহুলা তোমায় ঘিরে জানি কোনো শিউলীভোরে পাব তোমায় গাঙুর নদীর তীরে তাই জলের কিনারে বসত আমার ঘোর তুমি নদীপথে ভাসাও স্রোতে মান্দাসের ভেলা গ্রীষ্ম বর্ষা আর শীতে অকর্মা আমি বাঁধা থাকি শত গেরস্তকাজের ঘোরে এ…
-
কী যে চাওয়া কী যে পাওয়া
নিঃসঙ্গতা জ্বেলে জ্বেলে অন্ধকারে পথ চলে কবি নৈঃসঙ্গ্যই তার ধ্যান আরাধনা সাধনার সিদ্ধি ও সুন্দর! একাকিত্ব, নিঝুম রোদন 888sport live chatতৃষ্ণা একবুক হাহাকার অতৃপ্তি ও অপমান কাঁটাগুল্ম তার অমøজান ও ক্লোরোফিল, ভাঙতে ভাঙতে বেদনায় নীল বেদনা ও মৃত্যুঝুঁকি পান করে করে বেঁচে থাকে ভাঙাপোড়া কবি, এঁকে যায় এক লপ্তে অপ্রাপ্তি ও বিরহের মনোলীনা ছবি!
-
রক্ত মৃত্যু ভালোবাসা
জুলাই, তোমার কাছে বহু দেনা ঋণ শহিদের রক্তে পুষ্পে হয়েছো রঙিন। মøানতার স্পর্শ থেকে তোমাকে সরিয়ে হৃৎপিণ্ডের কোষে কোষে রেখেছি জড়িয়ে হঠিয়েছি অন্ধকার, পাশবতা কালো লাখো প্রাণ তোমাতেই আছে লীন, সর্বসত্তা দিয়ে বেসেছো কী ভালো!
-
গ্রাম খুঁজি
মাঝিয়াইল বলে কোনো এক গ্রামের নাম জেনে – গ্রাম খুঁজি দেশসুদ্ধ পাড়াগাঁয়ে কখনো সারিবদ্ধ কলাগাছের সন্ধানী দৃশ্যে শাদা বলদে হাল জুড়ে দেওয়ার আগপাছে দাড়িম্ব ফলের ক্রমপ্রসারমাণ সামাজিক ফলদবৃক্ষের স্ফূর্তিতে পকেটে লুকিয়ে রাখা ‘ভুলো না আমায়’ ফুলতোলা রুমালের ভাঁজে জসীমউদ্দীনের ‘রাখালিয়া’, ‘বালুচর’ কাব্যে – পাই খুঁজে নতুন ধানের ঘ্রাণে পল্লীর উঠোনে, গৃহে গৃহে উৎসবের বারোমাস।
-
পাখিজীবন
কাকটি দুপুরবেলা রোদে ভিজে-ভিজে উড়ছিল স্নানশেষে ডানা ঝেড়ে ফেলে যায় ছায়ার ফসিল দেখল না শস্যহীন মাঠের কৃষক সে কেবল আগাছাই ফেলে গেল রোদের ধাঁধায় এভাবেই দিনে-দিনে বড় হয় ছায়াবৃক্ষ নিজের ভেতরে মধ্যমাঠে টেকের পরিধি বাড়ে – জমির জ্যামিতি ডালপালা ঘেরা এই মায়াময় বৃত্তে বাসা বেঁধে নিয়ত যাপন করি পুরাণের পাখির জীবন উড়ে-উড়ে সারাদিন শুঁকি কড়া…
-
সহজ কথার গল্প
বলি বলি করে তারে আর বলা হয়নি ছোঁয়া হয়নি নক্ষত্রের আলো, উজালা বসন্ত রাত ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ পৃথিবীতে এত সহজ কথা দ্বিতীয়টি নেই অথচ কী আশ্চর্য কঠিন – বলতে গেলেই তুমুল তুফান, বুক ভাঙে, হাঁটু কাঁপে, কান দপদপ করে আশেপাশে যে বৃক্ষগুলো সবুজ ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তারাও শেকড় ছিঁড়ে ভেঙে পড়ে একে একে আশ্রয়হীন একটি…
-
কানাভোলা
অবোধ্য দেখছি সব দুর্বোধ্য কোলাহল কলকাঠি হাতে কার কার হাতে প্রদীপ আলাদিনের? আয়নায় বিভ্রান্তি বড় ভেসে ওঠে কার মুখ কার কণ্ঠে বলছি কথা জ্ঞানশূন্য হিতাহিত! অচেনা পথের বাঁক চিনছি না কাউকে আমি ভয়ংকর কানাভোলা কোথায় যে গন্তব্য তার!
-
শিরোনামহীন
যার দাঁত নেই হাড় চিবিয়ে খেতে ইচ্ছে করে তারও – নোয়ানো কোমর হেঁটে যায় যে বুড়ো তাকেও দেখেছি রমণীর বুকে চোখ বুক টানটান ভাব করে যেন এখনো – বিগত হতে চায় না কেউ যৌবন বড় নিদয়া প্রেমিক কৃষ্ণ সে মথুরায় চলে যায়। কেউ জেনে যায় কেউ না জেনে যায় পারে না তো দাঁতে, চুষে খায়…
-
খেলা
একটি কালো পাখি – বুকে লুকাতে চাই – রমণীরা সুন্দর হয় প্রেমে পড়লে আমিও প্রেমে পড়ি – সুখী পাখি জানে কালো কিংবা সাদা কম্পমান এক নির্ভরতার বুক। এক চিহ্ন রেখেছি বুকে তোমার জন্য পুষে – কোনো একদিন সুচিত্রা হবে; দ্রুত ফেলে দেবে হাতের কাঁকন। অপেক্ষমাণ এক আহাজারির রাতে তুমি করেছিলে উল্লাস – একই সাথে বুঝি…
-
বসন্তে ১টা শুক্রবারের দিবাভাগ
এই বসন্তে ১টা শুক্রবারের দিবাভাগ তুমি কীভাবে কাটাবে ও গোলাপি ঠোঁট গালে টোলপড়া মাঝবয়সী সুগঠিত রমণী? কেউ না জানুক অন্তত আমি জানি এর সবটুকু প্রথমে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃ888sport slot gameের ছলে সখীসঙ্গীসাথি নিয়ে ফুলের বাগানে প্রিয় লাল গোলাপ খোঁপায় গেঁথে ফটোশুটে যাবে তুমি এরপর বাড়িতে অলস দুপুরের বিছানায় এদিক-ওদিক আর ২৫ বসন্ত আগেকার কোনো…
